ডেস্ক রির্পোট:- অভিনব এক গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশ। নির্বাচন হয় কিন্তু অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই অংশ নেয় না এবং বেশির ভাগই জনগণ ভোট দেয় না। তারপরও জনপ্রিতিনিধি! সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচন নামের ভোট হয়; সে ভোটের আগেই বোঝা যায় কে নির্বাচিত হচ্ছেন। আবার প্রতিপক্ষ দলের কেউ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নির্বাচিত হলে তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নানা ছুঁতায় ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। গত কয়েক বছরে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান এমন পাঁচ শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে অব্যাহতি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৪ সালের প্রার্থী ও ভোটার বিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালের রাতের নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের ডামি প্রার্থীর জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় নির্বাচনের (উপজেলা পরিষদ) পথে হাঁটছে দেশ। ৪৯৫ উপজেলায় চার ধাপে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তিন ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা, দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা ও তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনকে উৎসব মনে করার বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াতসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল স্থানীয় এ উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ হিসেবে পরিচিত এবং গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোর বেশির ভাগই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। ফলে সরকারের ‘নাচের পুতুল’ হিসেবে পরিচিত কয়েকটি ক্ষুদ্র দল কিছু উপজেলায় প্রার্থী দিলেও এ নির্বাচনও আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ হতে যাচ্ছে। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী-এমপি এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে হুমকি, পাল্টা হুমকি, দেখে নেয়া, ভোট না দিলে উন্নয়ন কর্মকাÐ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি চলছে।
অন্যদিকে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতার কারণে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো অংশ নেবে না বুঝতে পেরে সরকার সুকৌশলে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা‘ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরও অন্যান্য দল নির্বাচন বর্জন করা এবং আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে নির্বাচন হলেই বিজয়ী হওয়া সুনিশ্চিত মানসিকতা গড়ে উঠায় ভোটের আগেই নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি শুরু হয়ে গেছে। নিজেদের মধ্যে হুমকি ধমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রচার হওয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজপথের প্রধান বিরোধীদল ও তার মিত্ররা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার ফলে এ নির্বাচনটিও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ফলে এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও ভোটারদের এ নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ অনেক কমে যাবে। বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচন বর্জন করায় তাদের সমর্থকরা ভোট দানে বিরত থাকবে তাতে ভোটার উপস্থিতিও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচনও বিরোধীদলহীন আমি ও ডামির নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণার পর সরকারের অনুগত গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার করা হয় বিএনপির তৃণমূলের নেতারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এমনকি সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী কিছু সিনিয়র সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এমনকি ভারতের গণমাধ্যমে প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখে প্রশ্ন তোলা হয় বিএনপি এখন কি করবে? জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর স্থানীয় নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি রাজনৈতিক ভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ওই সব প্রবন্ধে নিবন্ধে বলা হয় বিএনপির উচিত দলের নেতাদের চাঙ্গা রাখতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা। কিন্তু ১৫ এপ্রিল বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৬ এপ্রিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার হতে চায় না বিএনপি। সে কারণে ৮ মে থেকে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের প্রলোভনে পড়ে জামায়াতের ২২ জন নেতা প্রথম ধাপের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু জামায়াত দলগত ভাবে নির্বাচন বর্জন ঘোষণা দেয়ায় তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন।
বিএনপি ও জামায়াতের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোর বেশির ভাগই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি), হাসানুল হক ইনুর জাসদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার আগ্রহ নেই। দীলিপ বড়–য়ার সাম্যবাদী দল, ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি, গণআজাদী লীগের একটি করে উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী দেয়ার সক্ষমতা নেই। রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টির কয়েকটি আসনে পার্থী দেয়ার জন্য হারিকেন জ্বালিয়ে জেলায় জেলায় নেতা খুঁজছেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জেএসডি, বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, গণদল, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বাম ঘরানা ও ইসলামী ধারার বেশির ভাগ দলই নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। এ ছাড়া প্রলোভনে পড়ে বিগত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়া কিংস পার্টি হিসেবে চিহ্নিত শমশের মোবিন চৌধুরী-তৈমুর আলম খন্দকারের যৌথ নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপি, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন মাজার কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), কক্সবাজার-১ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার সাংগঠনিক অবস্থা ও নেতা নেই। বিএনপির সঙ্গে রাজপথে যুগপত আন্দোলনের মাঠ থেকে ডিগবাজি দিয়ে সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিম এমপি হওয়ার পর জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে কদমবুচির দৃশ্য সবাই দেখেছে। যা হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি ইউটিউবার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকেও হার মানিয়েছে। এছাড়াও এমপি হওয়ার লক্ষ্যে ইসলামী ধারার রাজনীতির থেকে ভেল্কিবাজি দিয়ে সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) থেকে নির্বাচিত এমপি ফুলতলির মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী তার দল ‘বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’ বিলুপ্ত ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের কোলে বসে গেছেন। সুবিধাবাদী এই ইসলামী চিন্তাবিদ নজিবুল বশর মাইজভাÐারীকেও হার মানিয়েছেন। নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী নিজের ইসলামী মূল্যবোধের আদর্শ বিসর্জন দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এমপি হলেও নিজের দল তরিকত ফেডারেশন বিলুপ্ত করেননি। কিন্তু মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী নিজের দল বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হয়েছেন। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির রওশন পন্থীরা উপজেলা নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেবে না বলে জানা গেছে। আর জাতীয় সংসদের গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) নির্বাচনে অংশ নিলেও দলটি প্রার্থী দেয়ার মতো নেতা খুঁজে পাচ্ছে না। বিগত উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সাড়ে ৪শ’ উপজেলায় লাঙ্গল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রংপুরের পীরগাছা ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ উপজেলায় ২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আড়াই শতাধিক উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ২শ’ থেকে দুই হাজার। জাপার এক নেতা জানান, গত সপ্তাহে দলটির প্রেসিডিয়াম সভায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু স্পষ্ট করে জানান, শেখ হাসিনা অনুকম্পা করে এমপি বানিয়েছেন, সংসদের বিরোধী দল করেছে জাপাকে। এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়া হলে তা হবে বিশ্বাসঘাতকতা। আওয়ামী লীগের অনুকম্পা পেতেই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে নানান চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে টিভির টকশো এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী সরকার সমর্থক কিছু সিনিয়র সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী নানাভাবে বিএনপির মাঠের নেতাদের উদ্বুদ্ধ করছেন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য। কিন্তু অনুসন্ধান করে দেখা গেছে বিএনপির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহী হচ্ছেন না। অতীতে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এমন একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে জানা যায়, তারা জাতীয় নির্বাচনের মতোই উপজেলা নির্বাচনের পাতানো ফাঁদে পা দিতে চাচ্ছেন না। কারণ ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে দাবি করলেও তাদের (বিএনপির স্থানীয় নেতা) ধারণা ১০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাননি। ফলে দেশের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষ এখনো বিএনপির পক্ষ্যে রয়েছে। তাদের বিশ্বাস, গত ১৫ বছর ধরে দেশে যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন নামের খেলা হচ্ছে নতুন প্রজন্ম নির্বাচনের এই গোঁজামিল বুঝে গেছে। ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্ম অনেক বেশি সচেতন। এই নতুন প্রজন্ম আগামীতে দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ করবে। ডামি প্রার্থীর নির্বাচন, রাতের ভোট এবং প্রার্থী ও ভোটার বিহীন নির্বাচনের রাজনীতি এক সময় বালির বাঁধের মতো ধসে যাবে। এক সময় পাতানো নির্বাচনের মিথ্যাচারিতার মুখোশ খুলে যাবে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি বড় দল। কেন্দ্র বর্জনের ঘোষণা দিলেও হয়তো সারাদেশে কিছু নেতা নারায়ণগঞ্জের তৈমুর, কুমিল্লার সাক্কু, ঝালকাঠির শাহজাহান ওমর, ব্রাক্ষèণবাড়িয়ার একরামুজ্জামানের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার লোভে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন তারা নিজেরাই রাজনীতি থেকে এক সময় ঝড়ে যাবেন। দেশের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষ সমর্থিত বিএনপি রাজনৈতি বটবৃক্ষ। এ বৃক্ষ লাখো কোটি ডালপালা থেকে কিছু পাতা ঝরে গেলে দলের তেমন ক্ষতি হবে না। বরং যারা দলের মধ্যে সুযোগসন্ধানি তারা চলে গেলেও দলের ক্ষতি হবে না।
উপজেলা নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেউ যদি দলের এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাহলে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। দলের সিদ্ধান্ত যারা মানবে না তাদেরকে দলে রাখা হবে না এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের এ সিদ্ধান্ত তৃণমূলের নেতাদেরকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আমাদের দলের কোন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবেও নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং জমা দিয়েছেন তারা সবাই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন।ইনকিলাব