ডেস্ক রির্পোট:- উয়েফা চ্যাস্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বের সেরা দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর প্রথম লেগে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসার পর সব চোখ ছিল ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। সেখানে হতাশ করেনি এই দুই দল। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর খেলা অবশ্য শেষ পর্যন্ত গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানে শেষ হাসি রিয়াল মাদ্রিদের।
রিয়াল গোলকিপার আন্দ্রি লুনিনের কৃতিত্বে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিতে নাম লেখেয়িছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ইতিহাদে দ্বিতীয় লেগে টাইব্রেকারের আগে বলতে গেলে পুরো আধিপত্যই ছিল স্বাগতিক ম্যান সিটির। তবে পুরো ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখেও এক গোলের বেশি দিতে পারে নি ফোডেন-ডি ব্রুইনারা। প্রথমার্ধে রদ্রিগোর গোলে রিয়াল এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে সিটিকে সমতায় ফেরান তাদের তালিসমান কেভিন ডি ব্রুইনা। এরপর পুরো ম্যাচ রিয়ালের জমাট রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করে গেছে সিটির খেলোয়াড়েরা। তবে রুডিগার-নাচোরা পরাস্ত হননি। রুডিগার-নাচোকে পার করলেও দেয়াল হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন রিয়ালের গোলকিপার আন্দ্রি লুনিন। শেষ পর্যন্ত জয়ের নায়কও তিনি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর মতো ইতিহাদেও রিয়াল প্রথম গোল করে ম্যাচের ১২ মিনিটে। বুদ্ধিদ্বীপ্ত পাসিংয়ে বল চলে যায় রদ্রিগোর পায়ে। তবে তার প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এডারসন। ফিরতি বল পেয়ে তা জালে জড়াতে আর ভুল করেননি রিয়ালের এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
এরপর বলতে গেলে পুরো ম্যাচ জুড়ে খেলেছে শুধু সিটিই। তবে রিয়ালের জমজমাট রক্ষণে সিটির প্রতিটি আক্রমণ মুখ থুবড়ে পড়ছিল। তবে ৭৬ মিনিটে বদলি ডকুর স্কিল আর রুডিগারের মুহূর্তের দুর্বলতায় সেটি আর থাকেনি। সিটিকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইনা। নব্বই মিনিটের খেলা দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত আধা ঘণ্টাও যায় একই ধারায়। এ সময়ে গোলের ভালো সুযোগটি ছিল রুডিগারের সামনে। জার্মান ডিফেন্ডার ১০৫ মিনিটে ৬ গজ বক্সের ভেতর নেওয়া শট বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন।
এরপর সেই টাইব্রেকারের মুহূর্ত। সিটি ফ্যানদের মনে সম্ভবত তখনই কুঁ ডাকছিল কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টাইব্রেকারে রিয়ালকে যে কেউ কখনো হারাতে পারেনি। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না।
টাইব্রেকারের প্রথম শট নেয় সিটির বিশ্বকাপজয়ী তারকা জুলিয়ান আলভারেজ। স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি। কিন্তু রিয়ালের হয়ে লুকা মদ্রিচ ব্যর্থ হন তখন মনে হচ্ছিল সেমিতে মনে হয় সিটি যাবে। তবে তারপরই শুরু হয় আন্দ্রি লুনিন বীরত্ব। একে একে ফেরান বার্নাদো সিলভা ও ম্যাতেও কোভাসিচের। আর এতেই এগিয়ে যায় রিয়াল।
পরে অবশ্য সিটি আর ভুল করেনি। ফিল ফোডেন ও এডারসন ঠিকই জালের দেখা পান। তবে ভুল করেনি রিয়ালও, জুড বেলিংহ্যাম, লুকাস ভাসকুয়েজ ও নাচোর পর জাল খুঁজে পান টনি রুডিগারও। তাতে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালে বায়ার্নের সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করে কার্লো আনচেলত্তির দল।