ডেস্ক রির্পোট:- প্রায় মাস দুয়েক বাদে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। প্রতিবারই বিশ্বকাপের আগে শোনা যায় প্রত্যাশার অনেক গল্প।
কিন্তু শেষ অবধি আশানুরূপ ফল করতে পারে না বাংলাদেশ। পরে এ নিয়ে সমালোচনাও হয় অনেক।
এবারই প্রথমবার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অনেকদিন ধরে দলের সঙ্গী তিনি। অধিনায়ক এবার বলছেন, প্রত্যাশাটা প্রকাশ না করতে। যদিও নিজেদের নিবেদনে ঘাটতি রাখবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শান্ত।
মঙ্গলবার একটি বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই আমি দেখি, বিশ্বকাপের আগে এসব নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা… এটা করব, সেটা করব। আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে, প্রত্যাশাটা খুব একটা করার দরকার নেই। প্রত্যাশাটা সবার মনের ভেতরেই থাক। আপনারাও জানেন, বাংলাদেশ দল কী চায়। আমরা ক্রিকেটাররাও জানি, আমরা দলকে কত দূর নিয়ে যেতে চাই। সবাই চায় যে, আমরা অনেক বড় কিছু করি। তবে এটা নিয়ে যখন অনেক বেশি মাতামাতি হয়, তখন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না। ’
‘আসলে দরকার নেই। ফল যখন হবে, তখন এমনিই বোঝা যাবে। আমি একটা জিনিস বলতে পারি, এই দলটা যে খেলবে, এরা প্রত্যেকটা ম্যাচে জেতার জন্য ১২০ শতাংশ দেবে। এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি এবং প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে। প্রতি বছর আমরা যখন খেলি, প্রত্যেকটা ম্যাচ অনেক আশা নিয়েই খেলি। তো আমরা যেটা পারি, সে জিনিসটা করারই চেষ্টা করব। তবে আগে থেকেই অনেক আশা করছি, এবার অনেক বেশি প্রত্যাশা করছি… একটাই অনুরোধ করব, আমরা যেন এসব নিয়ে বেশি মাতামাতি না করি। ’
টি-টোয়েন্টিতে অনেকটা সময় ধরে ভালো করছে বাংলাদেশ। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যায় ২-১ ব্যবধানে। এই সিরিজে অবশ্য বেশ ভালো উইকেটে খেলে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নিয়েও তেমন কিছুর কথাই বলছেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সবশেষ ৬-৭টা সিরিজ দেখি, এই দলটা বেশিরভাগ সিরিজ জিতেছে। যেটা বললাম, দলটা ভালো অবস্থায় আছে। অবশ্যই ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছা আছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা যে সিরিজটা খেললাম, এই ধরনের উইকেট প্রত্যাশা করছি। তারপরেও চেষ্টা করব, যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যখন খেলব, যে ধরনের উইকেটে খেলব, সেই ধরনের উইকেটে খেলা যায় কি না। আমার মনে হয় না, এটা খুব একটা সহজ হবে। তবে ভালো উইকেটই প্রত্যাশা করছি। আর এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে। ’
’আমার মনে হয়, প্রথমত আমরা দল হিসেবে খেলছি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবং আমাদের দলে কোনো বিশেষজ্ঞ কোনো ক্রিকেটার নেই। আমরা যখনই দল হিসেবে খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা বেশি জিতি। আর ওভারল যদি বলি, পেস বিভাগ অনেক উন্নতি করেছে। পাশাপাশি স্পিন ও ব্যাটিংটাও আছে। মূল যে বিষয়টা আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা যখন খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা ম্যাচ জিতি। ’