ডেস্ক রির্পোট:- সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ১১ জন নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় তেহরান। সেই ঘোষণার সূত্র ধরে গতকাল শনিবার রাতে ‘অপারেশন ট্রুথফুল প্রমিজের’ আওতায় ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা সেই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তেহরান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদনে দেশটির সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে ইরানি আক্রমণ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় ধরে চলেছে। এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানান, রাতজুড়ে সব মিলিয়ে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
হ্যাগারি জানান, এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে আসার পাশাপাশি ইরাক ও ইয়েমেন থেকেও এসেছে। এ সময় তিনি দাবি করেন, এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই আটকে দিয়েছে আইডিএফ।
এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।
জবাবে গতকাল শনিবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। গতকাল শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
আইডিএফ বলেছিল, একঝাঁক ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ড্রোনগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ইরান ১০০টিরও বেশি ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে। এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন।