বান্দরবান:- বান্দরবানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল কুচি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের হঠাৎ তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার ঈদের টানা ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
যারা বান্দরবানে বেড়াতে আসছেন তাদের বেশিরভাগই কিছু সময় ভ্রমণ করে আবার দ্রুত চলে যাচ্ছেন।
যে কারণে হোটেল-মোটেলেও নেই পর্যাপ্ত বুকিং।
এদিকে যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলায় রুমা,থানচি ও রোয়াংছড়ির পর্যটন কেন্দ্রসমূহে পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
বান্দরবানের নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আদিব বড়ুয়া জানান, প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে এমন দিনে প্রায় ১০ হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হতো, তবে এবারে পর্যটক অনেক কম।
ঢাকা থেকে আসা বান্দরবানের মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসা পর্যটক রাসেল মাহমুদ জানান, বান্দরবান খুবই সুন্দর। সব সময় শুধু বান্দরবানকে দেখতে ইচ্ছে করে । এখানকার নদী, পাহাড়, মেঘ আমাদের মুগ্ধ করে তবে এবারের সন্ত্রাসীদের সংবাদে আমরা অনেকটাই আতংকিত।
নীলগীরি পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ যাওয়া রংপুরের বাসিন্দা মো.মনিরুল আলম বলেন, বান্দরবানে হঠাৎ করে অশান্তি হওয়ায় আমাদের এবারের ভ্রমণের অনেকটাই মজা কমে গেছে। জেলা সদরের বাইরে আমরা কোথাও ভ্রমণে যাচ্ছি না।
এদিকে ঈদের পরদিন থেকে বান্দরবানে কিছু পর্যটক দেখা গেলে ও তার পরিমাণ অনেকাংশে কম, হোটেল মোটেলে রুম বাতিল হয়েছে বেশিরভাগ সময়। পর্যটক না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক ব্যবসায়ী।
জেলা সদরের আবাসিক হোটেল হিলভিউ হোটেলের ম্যানেজার পারভেজ জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রচুর পর্যটক বান্দরবানে বুকিং পেয়েছিলাম। কিন্তু কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় এবারে হোটেল বুকিং নেই, যারা আসছে তারা ও আশপাশের জেলায় চলে যাচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের বান্দরবান জোনের ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ জানান, যেকোনো বন্ধে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক সমাগম হয় আর তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে আমরা সব সময় প্রস্তুত থাকি।
তিনি আরো বলেন,বান্দরবানে দুটি উপজেলায় একটু সমস্যা হলে ও সেগুলো বাদ দিয়ে পুরো জেলায় অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে আর সেখানে পর্যটকরা অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারবে।