ডেস্ক রির্পোট:- গত ৭ মার্চের রাতে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ০১। বর্তমানে জাহাজটি আন্দামান থেকে ৬০০ মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে নোঙর ফেলে দাঁড়িয়ে আছে বলে দাবি করা হল একটি রিপোর্টে। শুধু তাই নয়, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে এখনও চিনের ৩টি জাহাজ আছে।
ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাব বিস্তারে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। এই আবহে বর্তমানে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তিনটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ ঘুরঘুর করছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে একটি গুপ্তচর জাহাজ বিগত ৩ দিন ধরে বঙ্গোপসাগরের মাঝখানেই আছে। এই জাহাজের অবস্থান আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ থেকে ৬০০ মাইল। অবশ্য জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমাতেই আছে।
উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলিতে শ্রীলঙ্কাকে বেস বানিয়ে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালাত। এখন চিনা জাহাজ পৌঁছে গিয়েছে ভারতের একদা মিত্র মলদ্বীপে। এই আবহে ভারতীয় নৌসেনা কড়া নজরদারি শুরু করেছে এই অঞ্চলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনা জাহাজ শিয়াং ইয়াং হং ৩ মালে পৌঁছায়।
প্রসঙ্গত, এখন মলদ্বীপে চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু মসনদে আছেন।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে একটি জাহাজ থাকার পাশাপাশি বর্তমানে অপর একটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ মলদ্বীপ থেকে ৩৫০ মাইল দূরে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া একটি জাহাজ মরিশাসের কাছে আছে। এর আগে ২০২২ সালে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছিল। সেটি শ্রীলঙ্কার বন্দরে থেমেছিল। তা নিয়ে কলম্বো এবং দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল। এই আবহে ২০২৩ সালেও চিনের আরও একটি গুপ্তচর জাহাজ ‘শি ইয়ান ৬’ ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করে।
এছাড়া গত ২০২২ সালেরই অগস্ট মাসে শ্রীলঙ্কায় নোঙর ফেলেছিল পিএলএ-র জাহাজ ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’। এদিকে ভারত মহাসাগরের তীরে নিজেদের মিসাইল পরীক্ষণ চালিয়ে থাকে ভারত। এই আবহে নজরদারি ক্ষমতা সম্পন্ন চিনা জাহাজ ভারতের উপকূলের এত কাছে চলে আসায় স্বভাবতই উদ্বিগ্ন দিল্লি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আফ্রিকার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত কোনও এক সমুদ্র পথের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে চিন। এই নতুন জলপথ খুলে গেলে দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মধ্যপরাচ্য বা পূর্ব আফরিকায় সহজেই পৌঁছে যাবে চিনা জাহাজ। এর ফলে ওই অঞ্চলগুলিতে আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারবে তারা। এই অঞ্চলে বিমানবাহী রণতরীও পাঠাতে পারবে চিন।