ক্রীড়া ডেস্ক:- মহেন্দ্র সিং ধোনির অনুমতি ছাড়া নাম ও ছবি ব্যবহার করে ব্যবসা করছিলেন মিহির দিবাকর। এমনটা জানার পর গত বছর রাঁচির জেলা আদালতে মামলা করেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত মঙ্গলবার দিবাকরকে গ্রেপ্তার করেছে জয়পুর পুলিশ।
২০১৭ সালে দিবাকরের সংস্থা অর্ক স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন ধোনি। এর পর থেকেই ধোনির ইমেজ সত্ত্ব কাজে লাগিয়ে স্ত্রী সৌম্যা দাসের সঙ্গে দেশ-বিদেশে স্পোর্টস একাডেমি খুলে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন দিবাকর। তবে চার বছর পর দিবাকরের সঙ্গে নিজের চুক্তি বাতিল করেন ভারতকে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে মিলিয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট চুক্তি বাতিলের সময় ধোনির অভিযোগ ছিল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে দিবাকরের সংস্থা অর্ক স্পোর্টস। কিন্তু চুক্তি বাতিলের পরও দিবাকর তাঁকে না জানিয়ে ব্যবসা করতে থাকেন এবং ১৫ কোটি রুপি মুনাফা করতে থাকেন। এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী ধোনিকে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি দিবাকরের সংস্থা। প্রথমে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা হলেও তা সাফল্যের মুখ দেখেনি।
এ কারণেই গত বছরের ২৭ অক্টোবর রাঁচির জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধোনি। দিবাকর-সৌম্যা দম্পতির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলা করেন তিনি। চেন্নাই সুপার কিংসের সাবেক অধিনায়কের মামলার বিপরীতে গত ১৬ জানুয়ারি দিবাকর-সৌম্যা দম্পতিও মানহানির মামলা করেছিলেন।
দিবাকরের সঙ্গে চুক্তি করার অনেক আগে থেকেই একে অপরের পরিচিত ছিলেন ধোনি। পরে তাঁদের মধ্যে বেশ বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছিল। ধোনির সঙ্গে রঞ্জি ট্রফিতেও খেলেছেন ভারতের হয়ে ২০০০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা এই ক্রিকেটার।