শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে একসাথে তিন কন্যা সন্তান জন্ম দিলেন নিশিকা চাকমা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য-ম্যুরাল নির্মাণে দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে দুদক কাজী নজরুল ইসলামকে অবশেষে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন সেনাপ্রধান রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে গোপন আস্তানার সন্ধান: সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে নিহত এক রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের ঢালুতে পর্যটকদের জন্য নির্মিত হলো প্রিমিয়াম ইকো কটেজ খাগড়াছড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর, গুরুতর আহত ১ মিয়ানমার আর বাংলাদেশের প্রতিবেশি থাকছে না? রাঙ্গামাটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযান, ইউপিডিএফ সদস্য নিহত অভিনেত্রী বাঁধনের জন্য পাত্র খুঁজছে পরিবার

সমাজে ধনী-গরিবের বিশাল ব্যবধান তৈরি হয়েছে : রিজভী

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১২৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ঈদের আনন্দ উদযাপনের বিপরীতে মধ্যবিত্ত মানুষেরা ‍মুখ লুকিয়ে কাঁদছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। বিশ্ব মুসলিমের এটি সর্বোচ্চ আনন্দ ও খুশির দিন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলেই এই উৎসব পরিবার, স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে উপভোগ করেন।
কিন্তু এ বছরও জনগণের ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র কেড়ে নেওয়ায় জনজীবনের এই উৎসব ম্লান হয়ে হয়ে গেছে। ডামি সরকারের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হরিলুট আর মহাদুর্নীতির কারণেই মানুষের শেষ হাসিটুকুও বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির কশাঘাতে জনজীবনে নিম্ন আয়ের মানুষের আর্তি শোনা যাচ্ছে।
সমাজে তৈরি হয়েছে ধনী ও গরিবের বিশাল ব্যবধান। অধিকাংশ মানুষের সামান্য প্রয়োজন মেটানোই যেন দুঃস্বপ্ন। দুঃশাসনের ছোবলে সমাজে নেমে এসেছে নৈরাজ্যের এক ঘন অন্ধকার। দ্রব্যমূল্যের লাগাম না টেনে বাজার সিন্ডিকেটের হোতাসহ সরকারের আস্থাভাজন ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ ব্যস্ত রয়েছে লুটপাট, দুর্নীতি ও বিরোধী মতকে দমন-পীড়নে।

ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ, শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না পাওয়া এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের কারা নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বাসের টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া। বাস পরিবহন খাত আপাদমস্তক অনিয়ম দুর্নীতির কারখানা। ঈদ উপলক্ষে চলছে সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। শ্রমিকলীগ-ছাত্রলীগের কালোবাজারি টিকিটের ব্যবসা নামে চলছে লুটতরাজ। ঈদ যাত্রায় এখন ব্ল্যাক টিকিটের চড়া দাম।
জীবনের প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোগান্তি আর হয়রানি।’

‘সড়ক-মহাসড়কে কোনো যানজট বা হয়রানি নেই। মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারছে’, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ যেন ডামি দায়িত্বশীলের মুখে দায়িত্বজ্ঞানহীন তামাশার মন্তব্য। এ যেন জনগণের সাথে এক ডাহা মিথ্যাবাদীর ইয়ার্কি-তামাশা। বাস্তবতা হলো, ঈদের প্রাক্কালে বিভিন্ন রুটে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে ঘরমুখো যাত্রীরা এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিমানের ভাড়া কল্পনাতীত। ট্রেনে টিকিট পাচ্ছে না মানুষ। ট্রেনের টিকিট কাটার প্রক্রিয়াকে দিন দিন জটিলতর করা হচ্ছে। এতে ধীরে ধীরে এলিট শ্রেণির বাহনে পরিণত হচ্ছে রেলওয়ে। যারা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষ, তারা আসলে অনলাইনের এই জটিল ব্যবস্থা বুঝতে সক্ষম নয়। ফলে একটা নিম্ন-মধ্যম আয়ের বিপুলসংখ্যক মানুষ ট্রেনে চড়ারই অধিকার হারিয়ে ফেলছে। অথচ এরাই ছিল ট্রেনের প্রকৃত যাত্রী।’

তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৬০ শতাংশ কারখানার শ্রমিকেরা গত মার্চ মাসের বেতন গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঈদের উৎসব ভাতা বা বোনাস পাননি ১৪ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। ওদের ঈদের আনন্দ চোখের পানিতে ভাসছে। প্রতিদিন আমাদের কেউ না কেউ হত্যা, না হয় গুম, না হয় জেলে বন্দি করা হচ্ছে, না হয় মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সারা দিন ধরে প্রায় প্রতিদিন আদালতে সময় পার করতে হচ্ছে। ফলে অধিকাংশ মানুষের চাকরি নেই, বন্ধ হয়ে গেছে ব্যবসা। এক লাখ ৫০ হাজারের ওপরে মিথ্যা মামলায় প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীর মধ্যে কেউ কারাগারে কেউ মানবেতর অবস্থায় ঘরছাড়া, বাড়িছাড়া হয়ে জীবন যাপন করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, সীমান্ত অরক্ষিত, ভিন্ন রাষ্ট্রের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশকে অভয়ারণ্য মনে করা, তাদের দ্বারা ব্যাংক লুট, থানা আক্রমণ এখন বাংলাদেশে নিত্যদিনের ছবি। সারা দেশে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের চরমে। শুধু রাজধানীতেই পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং, আর গ্রামে-গঞ্জে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। তাহলে বিদুৎ খাতের লাখ লাখ কোটি টাকা গেল কোথায়?’

ছয় বছরের সময় বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘ছয় বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ অবস্থায় বিনা অপরাধে মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বন্দি রাখা হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। হিংসাশ্রয়ী সরকার গায়ের জোরে গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। এই ঈদও পরিবার ছাড়া বন্দি অবস্থায় তাঁকে পালন করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions