ডেস্ক রির্পোট:- ফরিদগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধু ও তার দুই শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। গৃহবধুর স্বামী আরিফ হোসেন ঝুলন্ত অবস্থা থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের নামিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। খবর শুনে কয়েক হাজার উৎসুক মানুষের ঢল নামে ওই বাড়িতে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বেলা সাড়ে চার ঘটিকা পর্যন্ত পৃুলিশের এসপি পঙ্কজ দে, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করছিলেন।
পুলিশ ও দুই পরিবারের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আরিফ হোসেন (৩৫) মার্চ মাসের দুই তারিখে প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরেন। কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর বিবাদ শুরু হয়। প্রায়শই তাদের মধ্যে উচ্চবাচ্য হতো। এর মধ্যে আজ গৃহবধু ফাতেমা ও তার দুই শিশু সন্তান আরিফা (৫) ও আরিয়া (২) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে দুই শিশু কন্যাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর গৃহবধু নিজে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তিনি বলেন, ঘটনার প্রকৃত তথ্য অফিসিয়ালি জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গৃহবধুর স্বামী আরিফ হোসেন এখনও আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
গৃহবধুর স্বামী আরিফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দেখেছি আমার স্ত্রী বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বাজার থেকে চালের বস্তা নিয়ে বাড়ি ফিরে ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ পাই। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে স্ত্রী এবং বাচ্চাদের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত দেখতে পাই। তারপর ঘরের দরজা ভেঙ্গে রশি কেটে নিচে নামাই। এ সময় আমার চিৎকারে আমার মাসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান জানান, আরিফ বিদেশে থাকত। আমি শুনেছি আরিফ পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।