ডেস্ক রর্পোট:- পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, ‘বান্দরবানের থানচি ও রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর কুকি-চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু কার্যক্রমের খবর আসছে, আগামীতে আরও ভালো খবর আসবে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘কুকি চিন আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সবাই মিলে পরিকল্পনা করে কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমরা সবাই মিলে কুকি চিনের বিরুদ্ধে কাজ করছি। এখন আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা নেই।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এই নীতির কারণে আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছি, পাহাড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীসহ সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা পাহাড়ে অপরাধ সংগঠিত করার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে, রবিবার বিকালে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষেরৃ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা যাত্রীরা কোনও ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কিনা, এ সব বিষয়ে জানতে চান তিনি। এছাড়া পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে ঈদযাত্রার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন পুলিশপ্রধান।
গত ২ এপ্রিল রাতে এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় কুকি চিনের শতাধিক অস্ত্রধারী। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।