খাগড়াছড়ি:- উদ্বোধনের চার মাস পেরুলেও খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। বাংলাদেশ অংশের কাজ অনেকটা এগুলেও এখনও অনেক বাকি রয়েছে ভারতের অংশের কাজ। এই স্থলবন্দরটি চালু হলে তা হবে দেশের প্রথম ট্রানজিট স্থলবন্দর।
এই স্থলবন্দর দিয়ে পাশের মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে ত্রিপুরা, আসামসহ ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রায় আটটি রাজ্যের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে দুই দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিনিময়ের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) স্থলবন্দরটির সমন্বিত চেকপোস্ট (আইসিপি) পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সমন্বিত চেকপোস্ট (আইসিপি) চালু হলে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক প্রাপ্তি হবে। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আইসিপির দুই প্রান্তে বিনিয়োগ করছে। আইসিপি চালু হলে সামগ্রিকভাবে দুই দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
গত বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বন্দরটি উদ্বোধন করেন। তখন বলা হয়েছিল, পণ্য পরিবহনের আগে বন্দরটি দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হবে। কিন্তু চার মাসেও তা শুরু হয়নি।
এদিকে, স্থলবন্দরটির জন্য মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
স্থলবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বন্দরটিকে ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা ভিন্নতর হবে, সেজন্য আমদের দিক থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভারতের দিক থেকেও করা হচ্ছে। রাস্তার কাজ হচ্ছে, সবকিছু মিলিয়ে এখান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব অন্যান্য জায়গার চেয়ে অনেকটা কম। ফলে এটি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন দরজাও খুলে দেবে।
পরে বাহিনীটির প্রথম ও ২২৯ বছরের পুরনো রামগড় ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক। এ সময় তিনি স্থানীয়দের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, একটা সময় রাঙ্গামাটি দিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সাথে যোগাযোগের সুযোগ ছিল। তবে ১৯৬৫ সালের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় ৫৮ বছর পর ভারতের ৭টি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ বা সরাসরি বাণিজ্য সম্পর্ক চালু হতে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সরাসরি পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি যদি এই বন্দরে পণ্য খালাসের সুযোগ থাকতো তাহলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হতেন।