ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকারও হরণ করেছে ডামি সরকার।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ইফতার পার্টি করা যাবে না, কেন করা যাবে না? আপনারা যে যুগ যুগ ধরে করে আসছেন হঠাৎ এটা মনে পড়লো কেন যে ইফতার করা যাবে না? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়েছে ইফতার করা যাবে না। শুধু এটা করেই থেমে থাকেনি, ছাত্রলীগকে দিয়ে আক্রমণ করাচ্ছে। রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস ও উৎসবের বিষয় আছে। বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে ইফতার করতে চায়। এটাও রক্তাক্ত করেছে ছাত্রলীগ।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন ইসলামের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আমরা আর মামুদের যে নির্বাচন করেছে, যাদের পৃষ্ঠাপোষকতায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছে, সেই প্রভুদের খুশি করার জন্য ইফতারি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।এখন ছাত্রলীগকে দিয়ে আক্রমণ করিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকারও হরণ করছে।
সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের যে ক্ষোভ প্রচণ্ড রকমের বাড়ছে তা শেখ হাসিনাও টের পাচ্ছেন দাবি করে রিজভী বলেন, এই কারণে ছোট কর্মসূচিতেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব তৈরি করেছে। আন্দোলন দমানোর সরকারি যত সরঞ্জাম আছে সব নিয়ে হাজির হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ উনি (শেখ হাসিনা) ভালো করেই জানেন ৪টা লেবুর দাম ৮০ টাকা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ এখন দিশেহারা। মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ তার বিরুদ্ধে।
প্রত্যেকটি জায়গায় সরকারি সংগঠনের নেতারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে বলে দাবি করে রিজভী আরো বলেন, মন্ত্রীদের ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বাড়ি-গাড়ি সম্পদ রয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন নেতা এখন শত কোটি টাকার মালিক। জেলা ছাত্রলীগের নেতারাও দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। যা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। তাদের তো খেজুর কিনতে অসুবিধা হয় না, ফাইভ স্টারের খাবার নিয়ে বাড়িতে বসে আছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে ভারত পাশে ছিল বলেই অন্য রাষ্ট্রগুলো কিছু করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ভোটার শূন্য নিবার্চন করেছে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।