শিরোনাম
উত্তপ্ত তিন পার্বত্য জেলা, যা জানালো আইএসপিআর রাঙ্গামাটিতে পরিবহন ভাঙচুরের প্রতিবাদে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আজ পাহাড়ে আচ্ছেন তিন উপদেষ্টা অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম নিহত ৪ লেবানন থেকে ইসরায়েলে ১৭ হামলা দলে বিশৃঙ্খলা রোধে স্মার্ট অ্যাকশনে তারেক রহমান,আগামী সপ্তাহে ৩ জেলায় সমাবেশ সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৭শ মামলা,রাঙ্গামাটি,বান্দরবানসহ ছয় জেলায় এখনো মামলা হয়নি দেশের ৩ অঞ্চলে হিট ওয়েভের শঙ্কা চট্টগ্রামে হাতকড়া পরে ফিরল সাবেক এমপি ফজলে করিম খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি,অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন

শান্তর শতকে বাংলাদেশের জয়

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১১৬ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- শান্তর প্রত্যাবর্তনের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে লিয়ানাগের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।

জবাবে খেলতে নেমে ৪৪ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২২ রান করেছেন শান্ত। তাছাড়া অপরাজিত ৭৩ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো খেলছিলেন হাত খুলে। যদিও পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ব্রেক থ্রু পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিব নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আভিস্কার উইকেট তুলে নেন।

অফ স্টাম্পের বাইরে বল ফেলছিলেন তানজিম। ব্যাটারকে খেলতে হচ্ছিল শরীর থেকে দূরে থেকে। এমন এক বলে আভিস্কার ব্যাট ছুয়ে সহজ ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৩ রান করেন আভিস্কা। তাকে ফিরিয়েই থামেননি তানজিম সাকিব, নিজের পরের দুই ওভারে আরও দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার শুরুর স্বস্তি উড়িয়ে দেন।

৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করে তানজিমকে পুল করতে যান নিশাঙ্কা। কিন্তু তার টাইমিংটা ঠিকঠাক হয়নি। তৃতীয় স্লিপের কাছাকাছি দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ যায়। তানজিমের তৃতীয় ওভারে ৫ বলে ৩ রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমার দারুণ এক ক্যাচ নেন মুশফিক। প্রথম স্পেলে ৫ ওভার করে কেবল ২২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তানজিম।

১৩ রানের ভেতর তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তাদের রানের গতিও কমে যায়। ৩৭ বলে ১৮ রান করা চারিথ আশালাঙ্কাকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে কুশল মেন্ডিস হাল ধরেন জেনিথ লিয়ানগের সঙ্গে। তাদের ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।

তাসকিনের লেন্থ বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন কুশল মেন্ডিস। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। যদিও আরেক প্রান্তে ঠিকই টিকে থাকেন জানিথ। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করলেও ইনিংসটা অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ৬৯ বলে ৬৭ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।

এর আগেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহেশ থিকসেনাকে ফিরিয়ে শেষদিকে শ্রীলঙ্কার বড় রান করে ফেলার শঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন। বাংলাদেশ যদিও ইনিংসটা শেষ করেছে অস্বস্তি নিয়েই। ৮ ওভার ৪ বলে ৪৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তানজিম, তিন উইকেট পাওয়া তাসকিন ১০ ওভারে ৬০ রান দেন, শরিফুলও তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

রান তাড়ায় নেমে শুরুটা অবশ্য একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাদুশাঙ্কার করা ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান লিটন দাস। নিজের পরের ওভারে এসে সৌম্য সরকারকেও আউট করেন মাদুশাঙ্কা। স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দেওয়ার আগে ৯ বলে ৩ রান করেন তিনি।

তাওহীদ হৃদয়ও ফেরেন অল্পতে। ৮ বলে ৩ রান করে প্রামোদ মাদুসানের বলে বোল্ড হন তিনি। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই হারের শঙ্কা ভর করে বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু তিন নম্বরে খেলতে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন একদমই ঠাণ্ডা মেজাজে।

দুটি বড় জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান শান্ত। প্রথমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেওয়া ওই জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে। ৩৭ বলে ৩৭ রান করে মাদুশাঙ্কার দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে কুমারার বলে আউট হন রিয়াদ।

কিন্তু শান্ত খেলতে থাকেন দেখেশুনে। নতুন সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও রান এগিয়ে যান দারুণভাবে, তিনি ছুয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। শান্ত? অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরিটির দেখা এদিন পেয়ে যান তিনি। বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে তিন ফরম্যাটেই এর আগে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এক বছরের জন্য অধিনায়ক করা হয় শান্তকে। ভীষণ চাপ, স্কোরবোর্ডে রান ঠিকঠাক রাখার লড়াই, উইকেটে টিকে থাকা ও জুটি গড়ার প্রয়োজন; সবকিছু ভালোভাবে সামলেই এই শতক পেলেন তিনি। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।

শেষ অবধি তার সেঞ্চুরিটি জয়ের পথেই হয়েছে। শান্তর সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের জুটি দলকে ভিড়িয়ে দিয়েছে জয়ের বন্দরে। ১৭৫ বলে তাদের জুটি ছিল ১৬৫ রানের। ১২৯ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ রান করে শান্ত ও ৮৪ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions