ডেস্ক রির্পোট:- দেশে ৫ কোটির ওপরে মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে জনগণকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ক্যু করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে, এর চেয়ে বড় ভুল আর কিছু নেই।’
সোমবার নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে মাহে রমজান উপলক্ষে সাহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘জনগণকে নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ও তাদের ভোট কেড়ে নিয়ে যখন জোর করে বারবার ক্ষমতা দখল করবেন, তখন আপনার মুখ দিয়ে যা ইচ্ছে আপনি বলতে পারবেন। জনগণ তখন কি ভাবছে বা কি করছে অথবা কি চাইছে তখন সেটা আর বিবেচ্য থাকে না। কারণ, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি তারা তো অবৈধ সরকার। তাদের যা ইচ্ছে তারা সেটাতো বলতে পারবে। তাদের কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ও কর্মসূচি চলমান আছে। যত দিন বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে না পাবে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কেউ যদি মনে করে জনগণকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকতে পারবে, এর চেয়ে বড় ভুল আর কিছু নেই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, ‘এমন সময়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে, যখন দেশের পাঁচ কোটির ওপরে মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এ সময়ে নগর বিএনপির উদ্যোগ কিছু মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে। অন্তত কয়েক বেলা তারা খেতে পারবেন, ইফতার করতে পারবেন। বিএনপির কাজ এ রকমই হতে হবে। বিএনপি মানে জনগণ, জনগণ মানে বিএনপি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকামী ও মুক্তিকামী জনগণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখানে আজ অনেক গরিব মানুষ এসেছেন। আপনাদের বলা হয়েছে, যদি ভোটকেন্দ্রে না যান তাহলে ভাতা কেটে নেওয়া হবে। আপনারা অভাবী মানুষ। আপনাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে তবুও আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাননি। আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। এ জন্য বিএনপি ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অভাব থাকা সত্ত্বেও, সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাননি। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের বিজয়। এটা আমাদের আন্দোলনের সুফল। যে আন্দোলনে আমাদের শত শত নেতা কর্মী নিহত হয়েছে, লাখ লাখ নেতা কর্মী ঘরছাড়া হয়েছে, জেলে গিয়েছে। এত সমস্যার মধ্যেও আমাদের নেতা কর্মীরা আন্দোলন করে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সঙ্গে ছিলেন। এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের আত্মা ফিরিয়ে দিতে হবে।’
আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর। উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম আবুল ফয়েজ প্রমুখ।