বান্দরবান:- মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের জেরে ছোড়া গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে সীমান্তের জামছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বিকেলে আরও ১৫০ জনসহ মোট ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
আহত সাবের আহমদ (৪৩) নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিজিপি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে গতকাল সকালে দেশটির বিজিপির ২৯ সদস্য জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে আরও ১৫০ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিতে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে স্থানীয়রা ভিড় জমান জামছড়ি সীমান্তবর্তী মসজিদ এলাকায়। এ সময় বিজিপি সদস্যদের লক্ষ্য করে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলি ছুড়লে একটি গুলি ইউপি সদস্য সাবের আহমেদের শরীরে লেগে আহত হন। তিনি এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, সীমান্তের জামছড়িতে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে সেখানে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ইউপি সদস্য সাবের আহত হন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, সকালে আশ্রিত ২৯ জন বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বাকিদের একই স্থানে রাখা হবে যদি সংকুলান হয়। তবে শিক্ষার ব্যাঘাত হয় এমন কোনো স্থানে না রাখতে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন। যাবতীয় প্রক্রিয়ার পর আগের মতো তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।
১৭৯ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়ে বিজিবি গনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা এখন ১১ বিজিবির তত্বাবধানে রয়েছেন।
এর আগে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনাসহ ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।