চীন সীমান্তের কাছে জান্তার ১০ চৌকিতে হামলা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫৪ দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- চীন সীমান্তের কাছে কাচিন রাজ্যে মায়ানমার সামরিক বাহিনীর ১০টিরও বেশি চৌকিতে হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও জোটবদ্ধ প্রতিরোধ বাহিনী। এর মধ্যে লাইজা শহরে জান্তার সদর দপ্তরের কাছে থাকা একটি চৌকিও রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে এসব হামলা চালানো হয়।

লাইজার কাছে পাহাড়ের ওপর থাকা জান্তা বাহিনীর ঘাঁটিও দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। কেআইএ মুখপাত্র কর্নেল নও বু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে ইরাবতিকে জানান।

ওই চৌকিগুলো ১২০ মাইল দীর্ঘ সড়কের কাছে জান্তা সরকারের কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি সুরক্ষিত রাখছিল। কাচিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও কেআইএ রকেটসংবলিত বোমা দিয়ে পাশের ভামো অঞ্চলের বিমানবন্দরের রানওয়েতে হামলা চালায়।

মূলত জান্তা বাহিনী যাতে পাল্টা বিমান হামলা না চালাতে পারে, সে জন্যই ওই পদক্ষেপ নেন বিদ্রোহীরা।

সাগাইং অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা

পাঁচ দিনের লড়াইয়ের পর সাগাইং অঞ্চলের কানি শহর দখলে নিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী। গতকাল ওই শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে জান্তা বাহিনী বোমাবর্ষণ করেছিল। তিনি বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর বিমান আমাদের ওপর অবিরাম আক্রমণ চালায়। শহরে বোমা ফেলেছে। আমাদের লুকানো প্রয়োজন।’

গত শনিবার থেকে শহরটিতে আক্রমণ শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। সাগাইংয়ের রাজধানী মনিয়া থেকে প্রায় ৩৫ মাইল দূরে অবস্থিত শহরটি। সেখানে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সামরিক সদর দপ্তর রয়েছে।

এক বিদ্রোহী যোদ্ধা জানিয়েছেন, প্রতিরোধ দলগুলো ইন মার বিন জেলা কমান্ডের অধীনে কাজ করছিল। গতকাল বিকেল নাগাদ শহরের ৮০ শতাংশই ছিল তাদের দখলে।

কাওলিনে বেসামরিকদের ওপর হামলা

সাগাইংয়ের কাওলিনের আশেপাশে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এ ছাড়াও শহরের ৮০ শতাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। তাদের বিমান হামলায় ওই শহরে অন্তত ৩০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল, বাড়ির মতো অবকাঠামো রয়েছে।

গত বছরের ৬ নভেম্বর কাওলিন দখলে নিয়েছিল পিডিএফ ও কেআইএ। পরে ১০ দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর জান্তা শহরটিকে আবার নিজেদের দখলে নেয় এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি।

তার পর থেকেই কাওলিন শহরের বেশির ভাগই ধ্বংস করে দিয়েছে জান্তার সেনারা। এখন শহরটির কাছের গ্রামগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছে তারা। স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। সূত্র: ইরাবতি

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions