ডেস্ক রির্পোট:- জানুয়ারি ২৬ তারিখ, তখন রাত প্রায় সাড়ে ৮টা। ঘটনাটি নগরীর হালিশহর থানাধীন ছোটপুলস্থ আমজাদ আলী মুন্সি বাড়ির। ওবায়দুল করিম নামে এক ব্যক্তি ভিকটিম বিবি রহিমা আক্তারকে ফুসলিয়ে ও বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা গাড়ি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ওবায়দুল করিম ভিকটিম বিবি রহিমা আক্তারকে মো. সেলিম নামে অন্য সহযোগীর বাসায় নিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে ঘটনাটি উল্লেখ ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ওবায়দুল হক প্র. ওবায়দুল করিমকে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন বড়লিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিএমপির পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মো. সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ওবায়দুল হক প্র. ওবায়দুল করিম চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা এবং মো. সেলিম সিএমপির পাঁচলাইশ থানা এলাকার বাসিন্দা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে হালিশহর থানার ওসি বলেন মো. কায়সার হামিদ বলেন, গতকাল ভোরে তাদের গ্রেফতার হয়। আসামি করিম ঐ ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে পেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরেক আসামি সেলিমের কসমোপলিটন আবাসিক এলাকায় নিয়ে গণধর্ষণ করে তাকে।
তাকে খুবই অমানবিক নির্যাতন করে। ভিকটিম অসহ্য হয়ে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। এই জঘন্য কাজে সাথে আরো কেউ জড়িত থাকতে পারে। তবে আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি। আমাদের তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।