ক্রীড়া ডেস্ক:- ১৪ শিরোপা জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড এখনো রিয়াল মাদ্রিদের দখলে। সেখানে কোয়ার্টার ফাইনাল এ আর কেমন কী তাদের কাছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে তারা। তবু দলটির কোচ কার্লো আনচেলত্তি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ছিল আরবি লাইপজিগ। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই খেলতে নামে রিয়াল। তবে ম্যাচে সেই অর্থে আক্রমণাত্মক খেলা দেখাতে পারেনি রিয়াল। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রাখে রিয়াল ও প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর তাদের শট ৩ টি। অন্যদিকে লাইপজিগের বল দখলে ছিল ৪৬ শতাংশ ও ৪ শট করে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। যার মধ্যে ৬৫ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এরপর ৬৮ মিনিটে উইলি অর্বানের গোলে সমতায় ফেরে লাইপজিগ।
শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগেই অবশ্য ধাক্কা খায় রিয়াল। লা লিগায় দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে খেলতে নামেন জুড বেলিংহাম। সেকারণেই হয়তোবা গতকাল লাইপজিগের বিপক্ষে রিয়ালকে কিছুটা ছন্নছাড়া লেগেছে। দুই লেগ মিলে ২-১ গোলে এগিয়ে রিয়াল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও হতাশ আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে মুভিস্টারকে রিয়াল কোচ বলেন, ‘ম্যাচটা ভালো ছিল। গতি ছিল কম। মনস্তাত্ত্বিক একটা ব্যাপার থাকতে পারে। এমন এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমরা খেলেছি, যাদের হারানোর কিছু ছিল না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের পায়ে শেকল পড়ানো ছিল। আমরা ভুগেছি।’
প্রথম লেগে এগিয়ে থাকায় রিয়াল উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। এই ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে দুই বছর আগের পুরোনো এক ম্যাচের কথা স্মরণ করেছেন আনচেলত্তি। ২০২২ এর এপ্রিলে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে চেলসির বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতে রিয়াল। তবে দ্বিতীয় লেগে রিয়াল হেরে যায় ৩-২ গোলে। ৫-৪ গোলে এগিয়ে থেকে সেবার সেমিফাইনালে ওঠে রিয়াল। আনচেলত্তি বলেন, ‘রাতটা ভালো যায়নি অবশ্যই। এটা আমারই ব্যর্থতা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এমনটা হয়ে থাকে। ঘরের মাঠে চেলসির বিপক্ষে এমনটা হয়েছিল (২০২২ এপ্রিল)। তবে মাঝেমধ্যে এমন ম্যাচ আপনাকে বাদও করে দিতে পারে।’