রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির লংগদু-নানিয়ারচর সংযোগ সড়কের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। ফলে লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসীর তিন যুগের দাবি আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লংগদু উপজেলার পশ্চিম ইসলামাবাদ এলাকায় নানিয়ারচর লংগদু সংযোগ সড়কের কাজের উদ্বোধন করেন, লংগদু সেনা জোনের উপ অধিনায়ক আহমেদ ফারসাদ কবির।
এসময় লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম, লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনর রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু, মাইনীমুখ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসনে কমলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলাবাসীর দাবির ফলে স্থানীয় লংগদু উপজেলার ৭ জন ইউপি চেয়ারম্যানদের উদ্যোগে লংগদু উপজেলার ইসলামাবাদ হতে শুরু করে নানিয়ারচর সীমানা পর্যন্ত মোট ২৯ কিলোমিটার মাটি কেটে চলাচলের রাস্তা তৈরির প্রাথমিক কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার নানিয়ারচর-লংগদু সংযোগ সড়কের কাজের শুভ উদ্বোধন করা হল। এজন্য সড়ক ও জনপদবিভাগ থেকে ৪টি ড্রেজার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২টি ড্রেজার দিয়ে কাজ শুরু হলেও আরো ২টি ড্রেজার শিগগির আনা হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বলেন, আমরা আপাতত মাটি কেটে রাস্তা করে দিব। রাস্তা তৈরি কাজের সময় লংগদু জোনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
কাজের ব্যয়ভার কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নামে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ কৃত অর্থ থেকে একটা অংশ রাস্তা রাস্তার কাজে ব্যয় করা হবে। এছাড়াও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ফান্ড দেওয়া হবে। তাছাড়া সবকিছুতে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছেন লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বলেন, এটা উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নানিয়ারচর লংগদু সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করি। আমরা বিশ্বাস করি বড় গাড়ি চলাচল উপযোগী না হলেও আগামী ১ মাসের মধ্যে মোটরসাইকেল, জিপ, চাঁদের গাড়িসহ ছয় চাকার গাড়ি চলাচল উপযোগী করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, লংগদু-নানিয়ারচর সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় আমাদের খুব ভালো লাগছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল ব্রিজ করা। সেটাও হয়েছে। এখন শুধুমাত্র ২৯ কিলোমিটার রাস্তর জন্য রাঙামাটি জেলা সদরে নৌ-পথে যেতে দুই উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের চরম ভোগান্তি— পোহাতে হচ্ছিলো। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে। সড়ক পথ তৈরি হলে এক-দেড় ঘণ্টায় রাঙামাটি জেলা সদরে যাওয়া যাবে। সময় ও অর্থ অপচয় কম হওয়াসহ বৃদ্ধি পাবে উপজেলার শিক্ষার মান এবং রোগীর সেবা ব্যবস্থা।