ডেস্ক রির্পোট:- কুড়িগ্রামে পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দুর বিরুদ্ধে। সড়কে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) পৌরসভার ঘোষপাড়া (হাটির পার) পৌর আ.লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
নিহত সোহানের বন্ধু খন্দকার রেদোয়ান মাহমুদ বলেন, সোহানসহ আমরা তিন বন্ধু শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারে সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের গাড়ির সামনে এসে ছিটকে পড়ে। তখন আমরা আহত মোটরসাইকেল আরোহী দুজনকে উদ্ধার করে একটি অটোতে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। পরে আমরা শহরের দিকে আসার সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দুসহ তার দলবল আমার জিপ গাড়িকে থামায়। কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাদের ওপর তারা হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সোহান।
তিনি আরও বলেন, সোহান আহত হলে ছাত্রলীগ নেতা নিজই আমাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িতে করে তাকে সদর হাসাপাতাল নিয়ে আসে। পরে হাসপাতালের সামনে এসেও ছাত্রলীগ নেতা ও তার দলবল আবারও সোহানকে মারধর করে। আমরা এসে আহত সোহানকে হাসাপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, হারাধন ঘোষ বলেন, নিহত সোহান আমার প্রতিবেশী। সে অত্যন্ত ভদ্র ও শান্তিপ্রিয় ছিল। হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের কারোর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।