ডেস্ক রির্পোট:- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই দেশে গুম-খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট বাড়ে বলে মন্তব্য করে এবি পার্টির নেতারা বলেছেন, এই দখলদার সরকার ক্ষমতা দখলের পরপরই নতুন করে আওয়ামী দূর্বৃত্তরা দেশকে ধর্ষণ আর লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখলের কারণে আজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। নির্যাতিত-নিপীড়িত ৯৫ ভাগ মানুষ নির্বাচন বর্জন করে অলিখিত ঐকমত্য তৈরি করেছে, খুব শিগগিরই তারা রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফাইভ পার্সেন্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করবে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে ‘দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, সীমান্ত হত্যা, ধর্ষণ ও সন্ত্রাসসহ আওয়ামী দূর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) আয়োজিত গণবিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতারা এসব কথা বলেন। এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিএম নাজমুল হক প্রমুখ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই গুম, খুন, লুটপাট আর ধর্ষণ বাড়ে। ক্ষমতায় আসা মাত্রই তাদের সম্পদ শতগুণ বাড়ে। কারণ আওয়ামী লীগ মানেই স্বৈরাচার। তারা আজ গণতন্ত্রকে হত্যা করে একতরফা লুটপাট আর ধর্ষণের নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে দেশের সমস্যা সমাধান হোক, মানুষের উপর নির্যাতন বন্ধ হোক। তারা এখন পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার সমিতির নির্বাচনে পর্যন্ত ভোট চুরি শুরু করেছে। এই অধিকার হারা মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়বে তখন আওয়ামী লীগের নাম টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার যদি সঠিক পরিকল্পনা করতো তাহলে অনেক আগেই আরাকান স্বাধীন হতো এবং ১০ লাখ রোহিঙ্গা তাদের দেশে ফেরত যেতে পারত। ঢাকা নাইক্ষ্যংছড়ির মাটি আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। যে বাহিনী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে না, সেই বাহিনীর দরকার নেই।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ধর্ষণ বন্ধ করুন, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন, নইলে জনগণ এমন পদক্ষেপ নিবে আপনারা রাস্তায় বের হতে পারবেন না।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, দেশের মানুষ আজ আওয়ামী সন্ত্রাসের কাছে জিম্মী। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবি পার্টি রাজপথে সংগ্রাম করছে। এই আন্দোলন সংগ্রাম চলবে ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ওমর ফারুক, আনোয়ার ফারুক, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল, ইয়ামিনুর রহমান প্রমুখ।