শিরোনাম
ভ্যানে লাশের স্তুপ করা ভিডিও আশুলিয়া থানা রোডের নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর পদে এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি নয়, হেফাজতসহ ৬ ইসলামি দলের প্রস্তাব সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া উপায় নেই: আলী রীয়াজ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা কলেজের হিসাব শাখায় রহস্যজনক আগুন! রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি আবারো বেড়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ-বিপনন খাগড়াছড়িতে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ বেতবুনিয়া থেকে ধাওয়া করে রাউজান এনে মারা হলো শ্রমিক লীগ নেতাকে ছাত্র–জনতার ধাওয়া খেয়ে পোশাক খুলে পালিয়ে গেল আনসার সদস্যরা

সীমান্তের সব ক্যাম্প জান্তার হাতছাড়া, ৬২ সেনা নিহত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৭৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট :- মায়ানমারের রাখাইনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা বাহিনী। একের পর এক ক্যাম্প দখল করে নিচ্ছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সবশেষ রাখাইনের উত্তর অংশের মংডু শহরতলি তে থাকা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জান্তা বাহিনীর টাং প্রো লেট ইয়ার ক্যাম্প দখলের দাবি করেছে তারা। এর ফলে এখন রাখাইনে মাত্র একটি ক্যাম্প জান্তাবাহিনীর দখলে আছে। তবে সেখানে থাকা জান্তার সদস্যদের অস্ত্রসহ আত্মসমপর্ণের আহ্বান জানিয়েছে আরাকান আর্মি। ধারণা করা হচ্ছে সেটিরও পতন হবে শিগগিরই। মায়ানমারের নারিনজারা সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।

এদিকে মায়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপ পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট ইএও-এর সঙ্গে লড়াইয়ে গত তিনদিনে জান্তা বাহিনীর ৬২ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী। মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

নারিনজারা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে আরাকান আর্মি ক্যাম্পটি দখল করে। এ সময় তারা ক্যাম্পে জান্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সেনার মরদেহও পেয়েছে এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গোলাবারুদ ও অস্ত্র জব্দ করেছে।

এক বিবৃতিতে মায়ানমারের বিদ্রোহী যোদ্ধাদের জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, রবিবারই এএ যোদ্ধারা টাং প্রো লেট ইয়ার ও টাং প্রো লেট ওয়ে নামের দুটি জান্তা শিবিরে আক্রমণ শুরু করে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে ক্যাম্প দুটি দখল করতে গিয়ে তাদেরও বেশ কয়েকজন যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন।

সংঘর্ষটি এতই তীব্র ছিল যে গোলাগুলি ও কামানের গোলা পুরো অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ভেতরেও মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়েছে। বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে গোলা এসে পড়ার ঘটনায় রবিবার এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

তবে টাং প্রো লেট ইয়ার ক্যাম্প আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে গেলেও তাং প্রো লেট ওয়ে ক্যাম্পটির দখল এখনো জান্তা সেনারা ধরে রেখেছে। আরাকান আর্মি তাদের অস্ত্রসহ আত্মসমপর্ণের আহ্বান জানিয়েছে। এটিই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সর্বশেষ ক্যাম্প।

থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, আরাকান আর্মি বর্তমানে ম্রাউক-ইউ, মিনবিয়া ও কিয়াউকতা শহরতলিতে থাকা জান্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছে।

এ ছাড়া পোন্নাগিউন শহরতলিতেও আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। এই শহরতলির অবস্থান নদীর পাশে হওয়ায় শ্বে মিন গান জেটিতে থাকা নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আরাকান আর্মির অবস্থানে আর্টিলারি গোলা ছুড়েছে। সিত্তয়েতে অবস্থান নেওয়া জান্তাবাহিনীর ৩৫৪তম লাইট পদাতিক বাহিনীও এএর লক্ষ্যবস্তুতে গোলা ছুড়েছে।

গত দুই দিনে মায়ানমার বর্ডার পুলিশের ১০৬ জন সেনা পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলেও খবর এসেছে।

এদিকে ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ানমারের সাগাইং, মাগউই ও মান্দালে অঞ্চল এবং কাচিন ও কারেন প্রদেশে যুদ্ধে ৬২ সেনা নিহত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কিছু উল্লেখযোগ্য আক্রমণের প্রমাণ হাতে পেয়েছে। তবে সামরিক বাহিনীর হতাহতের সংখ্যাটি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।

পিডিএফের হোমালিন গ্রুপের দেওয়া তথ্যানুসারে, সাগাইং অঞ্চলের হোমালিন শহরের শুই পাই আই এলাকায় সামরিক বাহিনী ১০ দিন চেষ্টার পর গত শনিবার নিজেদের অভিযান পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। পিডিএফের কাছ থেকে তারা সাগাইং শহর পুনর্দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে।

পিডিএফ গত বছরের ২২ নভেম্বর ওই শহর দখল করে। এর পর থেকেই সামরিক জান্তা ও তাদের মিত্র শান্নি ন্যাশনালিটিজ আর্মি (এসএনএ) ওই শহর পুনর্দখলের অভিযান শুরু করে। জান্তারা চলে যাওয়ার পর তাদের অবস্থান থেকে ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পিডিএফ। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় আহত হয় আরও ৪০ জান্তা সদস্য।

ইয়াসাগাইও পিডিএফ জানিয়েছে, তারা এবং অন্য একটি পিডিএফ ব্যাটালিয়ন জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন-২৫৮ বাহিনীর প্রায় ১০০ সদস্যের ইউনিটের ওপর ২০টি ড্রোন বোমা হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় মাগউই অঞ্চলের ইয়াসাগাইও শহরের কিয়াউক হ্লি বি এলাকায় লুটপাট করছিল জান্তা সদস্যরা।

বেসামরিক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) জানায়, পিডিএফ ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (কেএনএলএ) বিদ্রোহীরা গত রবিবার কারেন প্রদেশের থানডাওঙ্গি শহরে সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। সে সময় জান্তার অন্তত ২০ সদস্য নিহত হয়। তিন দিনের লড়াই শেষে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সামরিক শাখা কেএনএলএ ও পিডিএফ মাইন লুইন এলাকার ওই ঘাঁটি দখল করে নেয়। সূত্র: ইরাবতী, নারিনজারা নিউজ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions