মিয়ানমারের ১৮৩ বিজিপি, সেনা-পুলিশসহ ২২৯ জন বাংলাদেশে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনা ও পুলিশসহ ২২৯ জন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে বিজিপির সদস্য আছেন ১৮৩ জন। বাকি ৪৬ জনের মধ্যে আছেন দুই সেনা সদস্য, চার সিআইডি, পাঁচ পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন সদস্য ২০ জন ও ৪ বেসামরিক নাগরিক।

মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি বলছে, যারা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন, তাদের অস্ত্র জমা নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।

বিজিবির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৮৩ বিজিপি সদস্যের মধ্যে তুমব্রু বিওপির ৭৬ জন, ঘুমধুমের ৩৭ জন ও বালুখালী এলাকার ৭০ জন।

এ নিয়ে মোট ২২৭ জন বিজিপি সদস্য কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীনে আছেন। অন্যদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিওপিতে আরও দুই বিজিপি সদস্য রয়েছেন।

বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের স্বার্থে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিজিবি।

বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপিসহ ২২৯ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিপির ১০৬ সেনা পালিয়ে আসার তথ্য জানায় বিজিবি।

এদিকে মিয়ানমারের সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানে দুইজন নিহত হন। সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপির চার নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ওই এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫২)। এছাড়া অপর নিহত রোহিঙ্গা পুরুষের (৫৫) পরিচয় জানা যায়নি।

এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজিপির ১০৬ জন পালিয়ে আসার তথ্য জানায় বিজিবি।

গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে আরাকান আর্মিসহ কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী।

সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় জান্তার অনুগত সেনাদের পরাজয়ের খবর আসছে। এমনকি অনেক জায়গায় সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও নিয়ন্ত্রিত এলাকাও দখলে নিতে শুরু করেছেন বিদ্রোহীরা।

এই নিয়ে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রথম দফায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বিজিপির ১৪ জন সদস্য। এরপর দফায় দফায় ওই সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে থাকেন বিজিপির সদস্যরা।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে সেখানে চাকমা সম্প্রদায়ের প্রায় চারশ জন এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কিছু লোক জড়ো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান। এ অবস্থায় ওই চাকমা-রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অবশ্য সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এদিন জাতীয় সংসদে বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সীমান্তে সশস্ত্র বাহিনীকে ধৈর্য ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions