বিনোদন ডেস্ক:- চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে দেখা যাবে অভিজিৎ শ্রী দাস পরিচালিত স্বস্তিকা মুখার্জি অভিনীত সিনেমা ‘বিজয়ার পরে’। প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন স্বস্তিকা। সিনেমা প্রদর্শনীর কয়েক দিন আগেই ঢাকায় পা রেখেছেন অভিনেত্রী।
গতকাল তিনি যোগ দেন ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে আয়োজিত ‘উইমেন ইন সিনেমা’বিষয়ক কনফারেন্সে। ভারতের চলচ্চিত্রে নারীদের কীভাবে দেখানো হয়, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সেন্সর বোর্ড কোন দৃষ্টিতে নারী চরিত্রদের দেখে, সিনেমায় নারী চরিত্রগুলো কেমন হওয়া উচিত—এসব তিনি তুলে আনেন নিজের অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে।
নিজের অভিনীত ‘আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ডস’ ও ‘সাহেব বিবি গোলাম’ সিনেমার উদাহরণ টেনে স্বস্তিকা জানান, এ দুই সিনেমাকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কারণ, এ দুই সিনেমায় তাঁর চরিত্র ছিল গতানুগতিক নারী চরিত্রের চেয়ে আলাদা। সেন্সর বোর্ড চেয়েছিল তাঁর চরিত্রের পরিণতি বদলে দিতে। এতে রাজি হননি স্বস্তিকা ও সিনেমার নির্মাতারা। স্বস্তিকা বলেন, ‘বিভিন্ন সিনেমায় আমি এমন চরিত্রগুলো করেছি, যারা নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে জানে। যে চরিত্ররা গতানুগতিক নয়। এমন একটা সময়ও এসেছিল, যখন আমার কোনো সিনেমা সেন্সর বোর্ডে গেলে, সেটা না দেখেই রিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। সব সময় আমাকে এসব নিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়ে সজাগ হওয়ার প্রতিও গুরুত্ব দেন স্বস্তিকা। তিনি বলেন, ‘শিল্পীদেরও একটা দায়িত্ব থাকে, শিল্পী হিসেবে তারা কী ধরনের ন্যারেটিভের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে অথবা চাইছে না। অসংখ্য তরুণ দর্শক আমার সিনেমা দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করে, অনুসরণ করতে চায়। সুতরাং মাথায় সব সময় থাকে, এমন চরিত্র আমার বেছে নেওয়া উচিত, যা সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। যদিও অভিনয়ই আমার রুটি-রোজগার। তবে, শুধু রোজগারের জন্য আমাদের সিনেমা করা উচিত নয়।’