মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর,নতুন মন্ত্রী হতে পারেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৯৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- আগামীকালই শপথ নিতে যাচ্ছে সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে সন্ধ্যা ৭টায় নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে নতুন মন্ত্রিসভার আকার বা এর সম্ভাব্য সদস্যদের সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন, সেটি নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নির্বাচিত এমপিদের বাইরে অনির্বাচিত বা টেকনোক্র্যাটরাও স্থান পেতে পারেন। তবে মন্ত্রিসভায় মোট সদস্যের এক-দশমাংশের বেশি টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখার সুযোগ নেই।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গতকাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মন্ত্রিসভা গঠনের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। সংসদ সদস্যদের শপথ হওয়ার পর সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করতে হবে। সেটি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হবেন। তিনি নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির কাছে জানাতে হয় সরকার গঠনের জন্য। এরপর রাষ্ট্রপ্রধান যখন অনুমোদন দেন তখন সরকার গঠন করা হয়।’

বর্তমান মন্ত্রিসভার তিন প্রতিমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার নৌকার টিকিট নিয়েও জয় পাননি আরো তিন প্রতিমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তাদের দপ্তরে নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা আছে। আবার গত মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত কয়েক সদস্য এবারের কেবিনেটে ঠাঁই নাও পেতে পারেন। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য হলো, সরকার এখন একটি কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং সময়ে নতুন সরকার শপথ নিতে যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি প্রশাসনে দক্ষতা রয়েছে এমন সাবেক আমলারাও এবার স্থান পেতে পারেন।

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পুরনো মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের একটি বড় অংশই নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন। দলের হেভিওয়েট বা কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নসরুল হামিদ, মো. শাহরিয়ার আলম, জুনাইদ আহমেদ পলককে নতুন মন্ত্রিসভায়ও রাখার সম্ভাবনাই বেশি। নতুন করে বণ্টন হতে পারে দায়িত্বও। এর মধ্যে বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নতুন মন্ত্রিসভায় আরো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পেতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, সামনের দিনগুলোয় যারা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সুশাসন নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন তারাই নতুন মন্ত্রিসভায় প্রাধান্য পাবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের বিষয়গুলো সামনে রেখে খুবই কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত লোকদের মন্ত্রিপরিষদে স্থান দিতে হবে। কারণ সরকারের ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মতো বিষয়ে দেখানো হবে জিরো টলারেন্স। তাই ব্যাংকিং অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সুশাসনের লক্ষ্যে জনমুখী মন্ত্রিপরিষদ দেখতে চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইশতেহারের ১১ দফা বাস্তবায়ন এবং ভুলত্রুটি ক্ষমার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এসব বিষয় বিবেচনায় নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হবে বলে আশা রাখছি।’

আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার ধারণা, অর্থনৈতিক সংকটের সময় নিষ্ক্রিয়তা ও বয়স বিবেচনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। যদিও খোলামেলা বক্তব্য দেয়ার কারণে তাকে নিয়ে দলের কয়েকজন সিনিয়র সদস্যের আপত্তিও রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানও এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাকেই সবচেয়ে যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

সচিবালয়ে গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কে অর্থমন্ত্রী হবেন তা জানি না। শপথ হলেই তা জানা যাবে।’ নতুন দায়িত্ব পাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘সরকারপ্রধান যেখানে দায়িত্ব দেন সেখানেই কাজ করব।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে আগেরবারও গুঞ্জন শুনেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব না দিলেও কোনো আপত্তি নেই, এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব।’

অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আগের দায়িত্বেই থাকতে পারেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমও এবার পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দায়িত্বে বহাল থাকবেন কিনা, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। সাম্প্রতিক সময়ে তাকে বেশ কয়েকবার বিদেশীদের সঙ্গে মধ্যস্থতা বা যোগাযোগ রক্ষার কাজে সামনে দেখা গেছে। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের জায়গায় পূর্ণ মন্ত্রী হতে পারেন সাবেক আমলা আবুল কালাম আজাদ। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এ সচিব পরিকল্পনা অথবা এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আগের মন্ত্রণালয়েই যে থাকছেন, তা অনেকটাই নিশ্চিত। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হতে পারেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পেতে পারেন গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান। বিমানের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এ জ্যেষ্ঠ সচিব। ঢাকাকে আঞ্চলিক যোগাযোগের হাব হিসেবে তৈরি করতে কাজে লাগানো হতে পারে তাকে।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম পেতে পারেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের অন্যতম সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সুনামগঞ্জের ড. সাদিক, ময়মনসিংহের আব্দুস সালাম, সিরাজগঞ্জের চয়ন ইসলাম ও তানভির শাকিল জয়, কিশোরগঞ্জের সৈয়দ জাকিয়া নুর লিপি, খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকও মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।

টেকনোক্র্যাট কোটায় আবারো মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। এবার তিনি একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। অথবা কৃষিতেও দেয়া হতে পারে তাকে। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজাকেও মন্ত্রিসভায় আনতে পারেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের এ যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। কোনো কোনো সূত্র আবার বলছে, মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনও।

বয়সের কারণে বাদ পড়তে পারেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। নানা কারণে বিতর্ক হওয়ায় এবার মন্ত্রিসভায় না আসার সম্ভাবনা বেশি পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পরিবেশমন্ত্রী শাহাবউদ্দীন, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের। বাদ পড়তে পারেন পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এ মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হতে পারেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী তার অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতার মধ্যমে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করবেন। এ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম সাংবিধানিকভাবে তিনিই সম্পন্ন করবেন। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বলা হয়েছে সেটি এ মন্ত্রিসভার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে।’

সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, যিনি সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। সরকারপ্রধানের সুপারিশেই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন।

চলতি সরকার গঠন হয়েছিল ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার আকার হয় ৪৭ জনের। এর মধ্যে ৩১ জনই ছিলেন তখন নতুন মুখ। পাশাপাশি আগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন এমন অনেকেও স্থান পেয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে আগের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তখন অধিকাংশ পুরনো মন্ত্রী বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন ও আগের সরকারের সময় বাদ পড়া দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়। সেই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী ও দুজন উপমন্ত্রী ছিলেন। পরে মন্ত্রিসভার আকার আরো বাড়ানো হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা, গঠন করেন ৩২ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এর ১৮ দিন পর যুক্ত হন আরো ছয়জন। এরও দুই বছর ১০ মাস পর আরো দুজনকে মন্ত্রী করা হয়।

এবারের মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে গতকাল ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ গঠন করার ব্যাপারে এখতিয়ার হচ্ছে লিডার অব দ্য হাউজের। উনি কীভাবে তার সরকার গঠন করবেন, মন্ত্রিপরিষদ সাজাবেন, সরকার পরিচালনার টিম তিনি কীভাবে সাজাবেন সেটা কিন্তু তার এখতিয়ার। এ সম্পর্কে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’বণিক বার্তা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions