ডেস্ক রির্পোট:- দেশে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়নি। বরং এর নামে নাটক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ‘একতরফা প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে’ দলের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মূলত ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন নয় নাটক হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি পীর সাহেব চরমোনাইয়ের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে এই প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় ধন্যবাদ জানাই। দেশবাসী এ নির্বাচনকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। ৭ তারিখে কোনো নির্বাচন হয়নি, নাটক হয়েছে। এই নাটকের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসে কতদিন থাকতে পারবেন তা চিন্তা করুন।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই- নির্বাচনের নামে যে নাটক করেছেন সেই তথাকথিত নির্বাচন বাতিল করুন। আমরা আগে থেকেই দাবি করে আসছি জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা আগেই বলেছি পিয়ার সিস্টেমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এসব যদি আপনি আগেই করতেন তাহলে আপনার এতো ধিক্কার শুনতে হতো না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত এ সমাবেশে দশটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে আসনে নির্বাচন করেছেন সেই আসনের একটি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩২৪ ভোটের জায়গায় ৩ হাজার ৩৩২ ভোট পড়েছে। এতেই বোঝা যায় সারা দেশে কেমন ভোট হয়েছে। শিশুদের দিয়ে ভোট দিয়ে অনৈতিক কাজে তাদের ব্যবহার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ বলতে এখন আর কোনো দল নেই মন্তব্য করে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, এই সরকারের প্রয়োজন শুধু ক্ষমতা। কারণ, তারা গত ১৫ বছরে এত অপকর্ম করেছে যে তারা ক্ষমতায় না থাকলে হয়তো তাদের জেলে যেতে হবে নয়তো পালিয়ে যেতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ বলতে এখন আর কোনো দল নেই।
‘এখন সরকার হিমশিম খাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিরোধী দল ছাড়াও গণতন্ত্র হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেল, দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র নেই।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীরাও।