নেতাকর্মীদের নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৯ দেখা হয়েছে

টাঙ্গাইল:- কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সাবেক মন্ত্রী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি মহাসড়কে কালিহাতী থানার সামনে অবস্থান নেন। এই ঘটনায় বেলা প্রায় ৩টা নাগাদ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে থানার সামনে অবস্থান নেওয়ার এই ঘটনা ঘটে। সেখানে লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও রয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সেখানে বলেন, ‘আমার সমর্থক হাসমত আলীকে বিনা অপরাধে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিনাশর্তে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না।’

তাঁর দাবি, বাংড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসমত আলী, নাগবাড়ির লাট মিয়া, বীরবাসিন্দার খোকা, পৌরসভার পিন্টু ও হৃদয় মিয়াকে পুলিশ অন্যায়ভাবে আটক করেছে। তাদের ছেড়ে দেয়া হলে তিনি অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবেন।

কালিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামল ফারুক বলেন, হাসমত আলী একজন এজাহারভুক্ত আসামি। অপরাধ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ঘটনার বিষয়ে কালীহাতি থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক মামুন বলেন, নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় নৌকার প্রার্থী মামলা করেন। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার জের ধরে আজ দুপুরে নির্বাচিত এমপি লতিফ সিদ্দিকী নেতাকর্মীদের নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। থানার সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের কথা হলে বেলা ৩টার দিকে তারা অবস্থান থেকে সরে যান। আজ সকাল থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী থানায় ছিলেন। মামলায় তার নাম ছিল না। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) হিসেবে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট। লতিফ সিদ্দিকী এ আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

হাসমত আলী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি নির্বাচনে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সমর্থক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পুলিশ বলছে, রোববার নির্বাচনের দিন কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার থানায় মামলা হয়। সোমবার রাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত দুজনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা সবাই লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থক।

গ্রেপ্তার অনুসারীদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকী আজ দুপুরে থানার সামনে যান। তিনি গ্রেপ্তার কর্মীদের ছেড়ে দিতে বলেন। পুলিশ তাঁদের ছেড়ে না দেওয়ায় লতিফ সিদ্দিকী থানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় তাঁর অনুসারীরা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন।

পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজন এজাহারভুক্ত আসামীসহ ৬ জনকে আটক করেছে। আইন আইনের গতিতে চলবে।

লতিফ সিদ্দিকী এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে মন্তব্যের জের ধরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কালিহাতীতে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে নির্বাচিতও হন।আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions