শিরোনাম
খাগড়াছড়িঃ সংঘাত থেকে শুরু হোক শান্তির পদযাত্রা। আওয়ামী লীগ জাপাসহ ১১ দলের কার্যক্রম বন্ধ চেয়ে রিট মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতির প্রসঙ্গ পার্বত্য টাস্কফোর্সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে কোন জাদুতে সওজের কাজ বাগাল অনভিজ্ঞ এনডিই,প্রাক-অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক পদোন্নতির হাওয়া বইছে প্রশাসনে, এসএসবির টেবিলে ৮৫০ নথি সাবেক ডিএমপি কমিশনার ফারুকের ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ! বিশ্বের বহু পলাতক স্বৈরশাসক টাকা দিয়ে রাজনীতিতে ফিরেছে,হাসিনার শক্তি পাচারের টাকা পর্যটকদের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি ও ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

আলোচনায় সংসদের বিরোধী দল,চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ॥

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৬৮ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরপরই দুটো বিষয় নিশ্চিত হয়ে যায়; এর একটি কারা হচ্ছে সরকারি দল এবং অন্যটি বিরোধী দলেই বা থাকছে কারা। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের ভিত্তিতেই এ বিষয় দুটি নিষ্পন্ন হয়। তবে এবার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার প্রক্রিয়া শুরু করলেও অস্পষ্টতা রয়েছে বিরোধী দল নিয়ে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে এককভাবে ১৫১টি আসন পেলে সরকার গঠন করতে পারে একটি রাজনৈতিক দল। এর চেয়ে কম আসন পেলে অন্য দলগুলোর সমর্থনের দরকার পড়ে। এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় রীতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠনের সুযোগ পাবে। প্রশ্ন হচ্ছে- তখন বিরোধী দল কে হবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সংবিধান বা জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালিবিধির কোথাও বিরোধী দল সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট বিধান নেই। জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ন্যূনতম কত আসন পেলে বিরোধী দল হওয়া যাবে, এ বিষয়েও নেই সুষ্পষ্ট কোনো নীতি।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, পার্লামেন্টই ঠিক করবে কে বিরোধী দল হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠরা সরকার গঠনের আমন্ত্রণ পাবেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের বাইরে যারা থাকবেন তারা বিরোধী দল হওয়ার আগ্রহ দেখাতে পারেন। কত আসনের ভিত্তিতে বিরোধী দল হবে তা নিয়ে বাধাধরা কোনো নিয়ম নেই। বিরোধী দলের ক্ষেত্রে আসনসংখ্যা কোনো গুরুত্ব বহন করে না। ফলে সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল চূড়ান্ত করার বিষয়টি রাজনীতিতে কোনো সংকট সৃষ্টি করবে না বলেও মত দেন এই আইন বিশেষজ্ঞ।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ আসনের মধ্যে প্রার্থী মারা যাওয়ায় একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত এবং গোলযোগের কারণে আরেকটি আসনের ফলাফল স্থগিত হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২২টি আসন। ফলে প্রথা অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন রাষ্ট্রপতি। আসন প্রাপ্তির দিক থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাতীয় পার্টি। দলটির প্রার্থীরা ১১টি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ একটি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি একটি আসনে জয়লাভ করেছে। স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন প্রার্থী। স্বতন্ত্র হিসেবে বিপুল সংখ্যক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কারণেই প্রশ্ন উঠেছে কারা হবে বিরোধী দল। তারা নতুন কোনো জোট গঠন করবে কি না তা নিয়েও রয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

সংসদে বিরোধী দল কে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, লিডার অব দ্য হাউস অর্থাৎ যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনিই পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বুঝে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করবেন, সিদ্ধান্ত নেবেন।

জাতীয় পার্টি বিরোধী দল না হলে : রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, যদি জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকার সুযোগ না পায় তাহলে বিকল্পও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ন্যূনতম আসন পাওয়া কোনো দল যেমন জাসদ, কল্যাণপার্টি বা ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে জোট করেও বিরোধী দলে যেতে পারে। এ অবস্থায় যে দলের সঙ্গে জোট হবে ওই দলের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলে থাকার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানাতে হবে। অথবা স্বতন্ত্রদের নিয়ে করা কোনো মোর্চার আসনসংখ্যা জাতীয় পার্টির চেয়ে বেশি হতে হবে। সেটি হলে আসনসংখ্যার ভিত্তিতে গঠিত মোর্চা সংসদে বিরোধী দল হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত বেশির ভাগ প্রার্থী আওয়ামী লীগের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এই বিকল্প বিরোধী দলের বিষয়টি বাস্তবে ঘটবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

কে কখন বিরোধী দলে : বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার বছরের শাসনামল বাদ দিলে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শাসনকাল ছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা। সংসদীয় রাজনীতিতে মূলত ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর থেকেই শক্তিশালী বিরোধী দল কার্যকর ভূমিকা রাখতে শুরু করে দেশে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে সরকারে গেলেও ওই সংসদে ৮৮টি আসন নিয়ে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সপ্তম জাতীয় সংসদে বিএনপি ১১৬ আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৬২টি আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল। এরপর ২০০৭ সালে দেশে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে নবম সংসদ নির্বাচন হয়, সেখানে আওয়ামী লীগ দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করে। বিএনপি মাত্র ৩০ আসন নিয়ে বিরোধী দলে যায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে ওই সংসদে প্রথমবারের মতো জাতীয় পার্টি ৩৪টি আসন নিয়ে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা ২৮৮টি আসন পায়। আর বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি আসন। বাকি তিনটি আসন পায় অন্যরা। নির্বাচনে সরকারের জোটসঙ্গী হওয়ার পরও ওই সংসদে জাতীয় পার্টি ২২ আসন নিয়ে বিরোধী দলে যায়। রওশন এরশাদ হন বিরোধীদলীয় নেতা।বাংলাদেশ প্রতিদিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions