চট্টগ্রাম:- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েকেঘণ্টা আগে চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর–পতেঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী এমএ লতিফের অনুসারীরা তিনটি ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বন্দর থানাধীন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সীপাড়ায় এ ঘটে বলে অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ে।এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের সমর্থকরা সেসব কেন্দ্রে গিয়ে ঝড়ো হন। এতে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ উঠেছে, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুন্সীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।এই দুটি স্কুলে দ্বিতীয় তলাসহ তিনটি কেন্দ্র। এখানে রাত ২টার দিকে ঢুকে পড়েন এমএ লতিফের সমর্থক আজিম আর বাবর। স্থানীয়রা টের পেয়ে জিয়াউল হক সুমনের লোকজনকে খবর দেয়। পরে সুমনের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
জিয়াউল হক সুমনের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক এনাম মুনির বলেন, ‘আজিম আর বাবর কেন্দ্র ঢুকে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে তাঁদের তাড়ান।’
অভিযোগের বিষয়ে এমএ লতিফের মিডিয়া সেলের পরিচালক জাহেদুল ইসলাম দুর্লভ বলেন, ‘কেন্দ্রে তো ব্যালট বক্স পৌঁছাবে সকালে। তারা যে বলল, আমাদের লোক কেন্দ্র দখল করতে গেছে, তাহলে তারা দখল করে কী করবে? আচ্ছা আমাদের লোক কেন্দ্রে গেছে। তাহলে ওতো রাতে তারা কী করতে গেছিল?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, ‘কেন্দ্রে বহিরাগত লোক ঢুকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। কেন্দ্রের বাইরে লোকজনের ভিড় দেখে পুলিশ সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। জিয়াউল হক সুমনের সমর্থকরা অভিযোগ করেছে, এমএ লতিফের লোকজন কেন্দ্রে ঢুকেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’
এম এ লতিফ ২০০৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁকে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। ২০১৩ সালে লতিফ নগর আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্যপদ পান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু।আজকের পত্রিকা