ডেস্ক রির্পোট:- কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ বিহারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রামুর চেরাংঘাটা এলাকায় রাখাইন সম্প্রদায়ের উসাইচেন (বড় ক্যাং) বৌদ্ধ বিহারের সিঁড়িতে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
আগুনে কাঠের তৈরি সিঁড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও রামু ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্ঠায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পায় কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত প্রায় দেড়শ বছরের প্রাচীন এ বৌদ্ধ বিহারটি। তবে এটি নাশকতা বা কোন কারণে এ ঘটনা ঘটেছে খতিয়ে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উসাইচেন (বড় ক্যাং) বৌদ্ধ বিহারের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা অংথুইমং জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৪০ মিনিটে বিহারে আগুন লেগেছে বলে জানান ভান্তে (বিহার অধ্যক্ষ)। বিহারের পাশেই আমার বাড়ি। সাথে সাথে বিহারে এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করি। প্রতিবেশিরাও এগিয়ে আসায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই। খবর পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ছুটে আসে। ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
স্থানীয় মেম্বার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ জানান, রাত ২টা ৬ মিনিটে মাস্ক পরা এক লোক পশ্চিম পাশের দেয়াল ডিঙিয়ে বিহারে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এই লোকটাই বিহারে আগুন দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, রামুর বৌদ্ধ বিহারে আবারও নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছে। রামুর মানুষের সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য এই ঘটনা। দুস্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
তবে এই বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।
আগুন সূত্রপাতের পর রাত থেকে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব মন্দিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্দির পরিদর্শন করেছেন।