ডেস্ক রির্পোট:- বাংলাদেশের অন্যতম পোশাক রপ্তানির গন্তব্যস্থল যুক্তরাষ্ট্র্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ বাজারে সারা বিশ্ব থেকেই পোশাকের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ফলে বাংলাদেশ থেকেও এই দুই বড় বাজারে পোশাক রপ্তানি কমেছে।
বিজিএমইএ তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রধান বাজারগুলোতে পোশাক রপ্তানি কমেছে। এ সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব থেকে পোশাক আমদানি ডলার ভ্যালুতে কমেছে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে কমেছে ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি ডলার ভ্যালুতে কমেছে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে কমেছে ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সারা বিশ্ব থেকে ডলার ভ্যালুতে পোশাক আমদানি কমেছে ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ থেকে একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডলার ভ্যালুতে পোশাক আমদানি কমেছে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে ১৭ দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পোশাক আমদানি ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ কমে ৬৭ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পরিমাণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন বর্গমিটারে দাঁড়িয়েছে। আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ২ দশমিক ৪১ বিলিয়ন বর্গমিটার। এদিকে রপ্তানির পরিমাণ কমলেও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিতই আছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দেশটির পোশাকের খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে পুরনো পণ্যের মজুদ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা পোশাক বিক্রেতা ও ব্রান্ডগুলো করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রচুর পোশাক পণ্য আমদানি করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি বাড়েনি।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউই বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি কমেছে। এখন একটু শ্লো হয়ে আছে। আশাকরি নতুন বছরে পণ্য বিক্রি বাড়বে। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ হবে। আমাদের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আমরা দুটি স্ট্যাটিজি নিয়ে কাজ করছি। প্রথম হলো পণ্য বৈচিত্র্যকরণ আর দ্বিতীয়টা হলো বাজার বৈচিত্র্যকরণ। আমরা এ দুই বিষয়ের ওপর ফোকাস করছি। এ ছাড়া আমরা এখন অপ্রচলিত বাজারগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি। এশিয়ার মার্কেটে আমরা ভালো কাজ করছি। অস্ট্রেলিয়াতে বিক্রি বাড়ছে। আমরা চায়না, জাপান, কোরিয়া ও আরব দেশগুলোতেও আমাদের বাজার বাড়ছে।