ডেস্ক রির্পোট:- সারা দেশে প্রতিদিন নিয়মিত মামলায় ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাজনৈতিক কর্মী নয় আসামি বলে জানিয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি(অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন।
আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান আনোয়ার হোসেন৷
আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের কতজন নেতা–কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটা একেবারে সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে প্রতিদিন নিয়মিত মামলায় সারা দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ নানা কারণে ১৮০০ থেকে ১৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর বাইরে যেটা বলা হয় শুধু রাজনৈতিক কারণে, আসলে রাজনৈতিক কারণে কোনো গ্রেপ্তার হয় না। যখন একটি জায়গায় মারামারি, বাসে অগ্নিসংযোগ, অবরোধ হয় তখন সেই সংক্রান্ত একটা মামলা হয়। মামলায় যারা আসামি হয় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। যেই সংখ্যাটা বাইরে বলা হয়, এটা একেবারেই অতিরঞ্জিত। আপনারা দেখেছেন গ্রেপ্তার বাণিজ্য শব্দ কিন্তু এবার গণমাধ্যমে নাই। আমরা গ্রেপ্তার করার আগে বারবার চিন্তা করি যে-ই জড়িত শুধু তাকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ২৮ অক্টোবর একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছিল। সেদিনের পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করেছি। সেখানে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল। পুলিশের অনেকগুলো অস্ত্র ছিনতাই হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে যেটা বলা হয় রাজনৈতিক কর্মী। আমরা যখন গ্রেপ্তার করি তখন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় না। আমরা দেখি কোনো একটা ঘটনার সাথে যারা জড়িত থাকে তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয় যেন পরিস্থিতির আর অবনতি না ঘটে।
লিফলেট বিতরণকারীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন,‘ নির্বাচনকে প্রতিরোধ করা, নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করাটা কিন্তু অপরাধ। আমরা যদি নির্বাচনী আইন বিধি এই বিষয়গুলো দেখি তাহলে দেখবেন, একটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। বাধা সৃষ্টি করতে গেলেই সেখানে সংগত কারণেই একটা ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে আরও বড় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’