ডেস্ক রির্পোট:- ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন এবং ফরিদপুর-২ আসনে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়ার পর এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।
গতকাল সোমবার (৭৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীস্থ বাস ভবনে এ ঘোষণা দেন এ কে আজাদ।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১১ জন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করে এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ চায় আমি নির্বাচন করব। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার জন্য আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ কে আজাদ আরও বলেন, ফরিদপুর একটি অবহেলিত অঞ্চল। এ অঞ্চলের শিক্ষা ও শিল্প নিয়ে কাজ করব আমি। বিশেষত মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য আমি শিল্পের ওপর জোর দেব।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. ফারুক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য শাহ আলম, ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন ও বদিউজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন ওই আসনের বর্তমান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে।
নিক্সন নির্বাচন করবেন এ কথা জানিয়ে তার সমর্থক ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন বলেন, নেত্রী বলে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে নির্বাচন করতে সমস্যা নেই। নিক্সন চৌধুরী এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নগরকান্দা-সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া। তিনি এ আসনে নির্বাচন করার জন্য দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর ওরফে লাবু চৌধুরী।
নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। নেত্রী (শেখ হাসিনা) এ নির্বাচন উন্মুক্ত ঘোষণা করে বলেছেন, ‘কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করতে চাইলে করতে পারবেন না। যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে তাকে বাধা দেওয়া যাবে না বরং সহযোগিতা করতে হবে।’
জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি ফরিদপুর-২ আসনে নির্বাচন করব। জনগণের ওপর আমার আস্থা আছে। এলাকার জনগণ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসাই আমার শক্তি। তাছাড়া গত উপনির্বাচনে আমি দলের স্বার্থে ‘সেক্রিফাইজ’ করে সেবার আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এ বিষয়টি এলাকার জনগণ ভালোভাবেই জানে।