ডেস্ক রির্পোট:-সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি ঘোষিত ৭ম দফা অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীতে মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ সকাল ৭টায় রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক সড়কে মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন রুহুল কবির রিজভী। মিছিলটি বনানী মাঠ থেকে কাকলীতে এসে শেষ হয়। এ সময় সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। ঢাকা জেলা বিএনপি মিছিলটি আয়োজন করে। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিল্টু, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি খন্দকার আবুল কালাম, ধামরাই উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, দোহার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহ সভাপতি মাহাবুব মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক ডা. আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক জসিম সিকদার রানা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল হামিদ নিরব, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম ফাহাদ, পাভেল খান, ঢাবির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আরেফিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান রাসেল প্রমুখ।
এ সময় রিজভী বলেন, সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়ে সঙ্গী খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কোথাও সাড়া না পেয়ে গোয়েন্দাদের দিয়ে দলছুঁট কিছু নেতাদের বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। হালুয়া-রুটির ভাগ পেতে কয়েকজন গেলেও মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিবেশি দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি রিপোর্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত সরকার, তাদের দেশের রাজনীতিবিদদের বুঝা উচিত বাংলাদেশের জনগণ কেন তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সমর্থন দিয়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের উচিত বাংলাদেশের জনগণ যা চায় সেটিকে সমর্থন দেয়া।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত এখন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত।
প্রায় প্রতিদিন বিএসএফ সেখানে বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করছে। তারা বাংলাদেশে একতরফা বাণিজ্য করলেও বাংলাদেশকে কোনো ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে তারা নানা উপায়ে হাজারো কোটি টাকা রেমিটেন্স নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদশের বর্তমান সরকার তাদেরকে সবকিছু উজাড় করে দিলেও প্রাপ্তির খাতা শুধুই শুণ্য।