শিরোনাম
খাগড়াছড়িঃ সংঘাত থেকে শুরু হোক শান্তির পদযাত্রা। আওয়ামী লীগ জাপাসহ ১১ দলের কার্যক্রম বন্ধ চেয়ে রিট মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতির প্রসঙ্গ পার্বত্য টাস্কফোর্সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে কোন জাদুতে সওজের কাজ বাগাল অনভিজ্ঞ এনডিই,প্রাক-অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক পদোন্নতির হাওয়া বইছে প্রশাসনে, এসএসবির টেবিলে ৮৫০ নথি সাবেক ডিএমপি কমিশনার ফারুকের ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ! বিশ্বের বহু পলাতক স্বৈরশাসক টাকা দিয়ে রাজনীতিতে ফিরেছে,হাসিনার শক্তি পাচারের টাকা পর্যটকদের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি ও ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

সুপ্রিম কোর্টে উত্তেজনা, বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বের করে দিলো পুলিশ, সাংবাদিকদের মারধর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৫১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চলছে দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টায়ও ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি। এদিকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বের করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় বিএনপিপন্থি প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে লাঞ্ছিত করা হয়। ভোটকেন্দ্রের প্রবেশমুখে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি নিজেই।

এদিকে মারধর করা হয়েছে সাংবাদিকদেরও। আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এসএম নূর মোহাম্মদ, এনটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আক্তারকে মারধর করে পুলিশ। মানবজমিন ডিজিটালের সাংবাদিক মারুফ হাসানের হাত থেকে বুম কেড়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে কর্তব্যরত সাংবাদিকরা।

জানা গেছে, সোমবার রাতে হঠাৎ করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক বিচারপতি মুনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন।
বিজ্ঞাপন
দেখা দেয় নতুন জটিলতা। যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু করতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ দু’পক্ষই নতুন দুজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করেন। আওয়ামী লীগপন্থিদের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে এবং বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করেন।
আজ সকালে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা তাদের গঠন করা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানের অধীনে ভোটগ্রহণ শুরু চেষ্টা করেন। এসময় বাধা দেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা দাবি জানান, সুষ্ঠু পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু করতে হবে। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হট্টগোল শুরু হয়। দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, ব্যারিস্টার খোকন ও কাজলের নেতৃত্বে ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে। বিএনপির আইনজীবীদের অভিযোগ করছেন, রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে এডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক পদে আব্দুন নূর দুলাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দু’জনই সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক। অন্যদিকে নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি সমিতির বেশ কয়েকবারের সম্পাদক ছিলেন। এ প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নির্বাচনে লড়ছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ১৫ ও ১৬ই মার্চ ২ দিনের নির্বাচনে সমিতির তালিকাভুক্ত প্রায় ৯ হাজার আইনজীবী ভোট দেবেন। সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের এই নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের প্রধানের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করায় আইনজীবীদের মধ্যে নির্বাচন হবে কী হবে না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions