শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকের প্রস্তুতি, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে-টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস আগামী নির্বাচন নিয়ে দিল্লি ভয়ংকর পরিকল্পনা করছে: জাগপা নেতা রহমত নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের নাম ছিল বিএনপির তালিকায় নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন গঠন ‘জনগণ যাতে ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই’ রাঙ্গামাটির কাপ্তাই অটল ছাপ্পান্ন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা সেন্ট মার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি, অ্যাপস থেকে পাস

যে আইনের বলে সোলাইমানিকে হত্যা করেন ট্রাম্প, সেটি বাতিল করছে মার্কিন সিনেট

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৫৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- আমেরিকার সেনাদের দ্বারা শেষ আক্রমণের ২০তম বার্ষিকীর আগে ইরাকে যুদ্ধের জন্য দেওয়া অনুমোদন বাতিল করতে যাচ্ছে মার্কিন সিনেট।

বুধবার সিনেটের একটি কমিটি বিষয়টি সমর্থন করেছে।
ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্য ১৯৯১ ও ২০০২ সালে অনুমোদন দেওয়া হয়, যা দ্য অথরাইজেশন ফর ইউজ অব মিলিটারি ফোর্স (এইউএমএফ) নামে পরিচিতি। যুদ্ধে সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা রয়েছে, তবে এই আইন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত ক্ষমতা দেয়।

বুধবার সিনেটে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি অনুমোদন বাতিলের জন্য ১৩-৮ ভোট দিয়েছে।

সিনেটের ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেছেন, পূর্ণ সিনেট আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিলে ভোট দিতে পারে, যা ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০০৩ সালের এ দিনে শেষবার ইরাকে আক্রমণ করে মার্কিন বাহিনী।

এইউএমএফ বাতিলের প্রচেষ্টাকারীদের অন্যতম সিনেটর টিম কাইন। তার মতে, এ অনুমোদন থাকার কোনও মানে হয় না।

তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালে ইরাক আমাদের শত্রু ছিল। তারা এখন নিরাপত্তা অংশীদার। আমরা আইএসআইএস-কে পরাজিত ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সতর্কতা অব্যাহত রাখতে তাদের সঙ্গে কাজ করছি।

এইউএমএফ নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা অনেক দিন ধরে তর্ক করে আসছেন। তাদের মতে, প্রেসিডেন্টের সামরিক পদক্ষেপের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর এ আইন ব্যবহার করা হয়েছে। ইরাকে সিনিয়র ইরানি সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ২০২০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প বলেছিলেন, এইউএমএফ তাকে আইনি কর্তৃত্ব প্রদান করেছিল।

যদিও সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট নয় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসই যুদ্ধ ঘোষণা করার অধিকার রাখে। অবশ্য এই আইন নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে উভয় দলের সদস্যদেরই বাতিলের সমর্থন সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য বিরোধিতাও রয়েছে।

বিদ্যমান এইউএমএফ বাতিল করার আগে সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি প্রতিস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রতিনিধি ও হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার পর এইউএমএফ আইনে পরিণত হয়। এর অধীনে প্রেসিডেন্টকে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার জন্য দায়ী, তাদের সাহায্যকারী ও আশ্রয়দানকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত শক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এইউএমএফ ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১০৭তম কংগ্রেস পাস করে এবং প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আইনটিতে স্বাক্ষর করেন। সূত্র: রয়টার্স

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions