শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

পাহাড়ে আম চাষ: ঝড়ে ফলন নিয়ে চিন্তা চাষির

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫৫ দেখা হয়েছে

খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পাহাড়ে বাড়ছে আমের চাষ। এবার ৪৫০ হেক্টর বাগানের ৯০ শতাংশ গাছে ইতিমধ্যে আম গুটি আকার ধারণ করেছে। তবে চৈত্র মাসের প্রথম দিনে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে ছোট গুটিগুলো ঝরে গেছে। সর্বশেষ গত শনিবার শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় ফলন নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, গাছে এখনো যে গুটি টিকে আছে, তাতেই কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে।

বাগানের মালিকেরা ঝড়বৃষ্টির পর অবশিষ্ট আমের গুটি টিকিয়ে রাখতে ওষুধ প্রয়োগসহ নিয়মিত পরিচর্যা বাড়িয়েছেন। বাটনাতলী এলাকার সেম্প্রুপাড়ার সফল আমচাষি আবু তাহের এবার ২৭ একর জমিতে আমবাগান করেছেন। তিনি বলেন, ‘২৭ একর টিলায় সৃজিত গাছে এ বছর এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার ওষুধসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। বারি-৪ আমের গুটি ইতিমধ্যে কিছুটা বড় হলেও অন্য সব আমগাছের ৯০ শতাংশ মুকুল পরাগায়ন হয়েছিল। মটরদানা আকৃতির গুটিগুলো সম্প্রতি বাতাস ও বৃষ্টিতে ঝরে গেছে। অবশিষ্ট গুটিগুলো নিয়ে এখন স্বপ্ন বুনছি।’

রাঙ্গাপানির মালিহা গার্ডেনের মালিক ও জেলা পরিষদ সদস্য মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘এবার অসময়ের বৃষ্টি ও বাতাসে ছোট গুটি ঝরে গেছে। এবার ফলনে ধসের আশঙ্কা বেশি।’

এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, গত মৌসুমে মানিকছড়িতে ৪৩০ হেক্টর বাগানে আম উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার টন। এ বছর প্রায় ৪৫০ হেক্টর বাগান উৎপাদনমুখী। ঝড়বৃষ্টিতে ছোট আমের গুটি ঝরে গেলেও অবশিষ্ট গুটি টিকিয়ে রাখতে পারলেই যথেষ্ট।

এই কর্মকর্তা বলেন, গাছে যত মুকুল আসে এবং যা পরাগায়ন হয়, সব আম হয় না। কিছু ঝরে যায়, কিছু নষ্ট হয়। এতে আতঙ্কিত বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। গাছের প্রতিটি শাখায় ৩-৪টি গুটি টিকে থাকাই যথেষ্ট। এই পরিমাণ আম টিকে থাকলেই উপজেলায় এবারও আমের বাম্পার ফলন হবে। এখন গুটিতে ছত্রাকনাশকসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ ছিটাতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বাগানমালিকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions