খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পাহাড়ে বাড়ছে আমের চাষ। এবার ৪৫০ হেক্টর বাগানের ৯০ শতাংশ গাছে ইতিমধ্যে আম গুটি আকার ধারণ করেছে। তবে চৈত্র মাসের প্রথম দিনে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে ছোট গুটিগুলো ঝরে গেছে। সর্বশেষ গত শনিবার শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় ফলন নিয়ে চিন্তিত চাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, গাছে এখনো যে গুটি টিকে আছে, তাতেই কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে।
বাগানের মালিকেরা ঝড়বৃষ্টির পর অবশিষ্ট আমের গুটি টিকিয়ে রাখতে ওষুধ প্রয়োগসহ নিয়মিত পরিচর্যা বাড়িয়েছেন। বাটনাতলী এলাকার সেম্প্রুপাড়ার সফল আমচাষি আবু তাহের এবার ২৭ একর জমিতে আমবাগান করেছেন। তিনি বলেন, ‘২৭ একর টিলায় সৃজিত গাছে এ বছর এখন পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার ওষুধসহ প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। বারি-৪ আমের গুটি ইতিমধ্যে কিছুটা বড় হলেও অন্য সব আমগাছের ৯০ শতাংশ মুকুল পরাগায়ন হয়েছিল। মটরদানা আকৃতির গুটিগুলো সম্প্রতি বাতাস ও বৃষ্টিতে ঝরে গেছে। অবশিষ্ট গুটিগুলো নিয়ে এখন স্বপ্ন বুনছি।’
রাঙ্গাপানির মালিহা গার্ডেনের মালিক ও জেলা পরিষদ সদস্য মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘এবার অসময়ের বৃষ্টি ও বাতাসে ছোট গুটি ঝরে গেছে। এবার ফলনে ধসের আশঙ্কা বেশি।’
এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, গত মৌসুমে মানিকছড়িতে ৪৩০ হেক্টর বাগানে আম উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার টন। এ বছর প্রায় ৪৫০ হেক্টর বাগান উৎপাদনমুখী। ঝড়বৃষ্টিতে ছোট আমের গুটি ঝরে গেলেও অবশিষ্ট গুটি টিকিয়ে রাখতে পারলেই যথেষ্ট।
এই কর্মকর্তা বলেন, গাছে যত মুকুল আসে এবং যা পরাগায়ন হয়, সব আম হয় না। কিছু ঝরে যায়, কিছু নষ্ট হয়। এতে আতঙ্কিত বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। গাছের প্রতিটি শাখায় ৩-৪টি গুটি টিকে থাকাই যথেষ্ট। এই পরিমাণ আম টিকে থাকলেই উপজেলায় এবারও আমের বাম্পার ফলন হবে। এখন গুটিতে ছত্রাকনাশকসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ ছিটাতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বাগানমালিকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com