ডেস্ক রির্পোট:-টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সিন্ডিকেট ভাঙতে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় সরকারের ব্যর্থতা অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সিন্ডিকেটের কাছে সরকার জিম্মি নাকি তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে।
গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বর্তমানে সারা বিশ্বে টালমাটাল অবস্থা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যে আমরা আপনাদের খুব সুখে-শান্তিতে রাখতে পারবো। অন্যরা ভালো নেই আমরাও ভালো নেই। সবার একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে। তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি বিশ্বের কোথাও ভালো নেই। সারা বিশ্বে বাজার পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙবে। আসলে এর সঙ্গে কারা জড়িত এটা খতিয়ে দেখার বিষয় আছে।
যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, ক্ষমতায় যেতে হাহাকার করছে, এই সিন্ডিকেট তাদের হতাশা থেকে হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এখানে সক্রিয় আছে, নিষ্ক্রিয় নেই। কাজ তো করে যাচ্ছি, একসময় ফল আসবে। পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবহনে চাঁদাবাজি অনেক আগে থেকে চলে আসছে। এটা নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে, সবাই কাজ করছে। এটা একেবারে বন্ধ হবে না, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাজা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের প্রভাব ফেলবে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় নিজের দেশে কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে যিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন সেটাকে হয়রানি বলা কি সঠিক হবে? একজন ব্যক্তির জন্য দুটো দেশের সম্পর্ক প্রভাবিত হবে, এটা আমার মনে হয় সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এতগুলো চার্জ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে মামলায় হাজির দিচ্ছেন তিনি। তো সেখানে রেজাল্ট কী হবে, রায় ঘোষণার আগে তো আমরা বলতে পারছি না। সেখানে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে মামলা চলছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী? এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা আরাম-আয়েশ করে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল, সেই কর্মীরা এখন হতাশ। বিএনপিকর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সেই অবস্থা নেই। এক কথায় বলবো, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।