শবেবরাতের ফজিলত নিয়ে কোরআন-হাদিসে যা বলা আছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৭৬ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- পবিত্র শবেবরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ তাৎপর্যময় একটি রজনী। এ রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন তার বান্দাদের জন্য। পাপী বান্দাদের উদারচিত্তে ক্ষমা করেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এ জন্য এ রাতকে শবে বরাত বলা হয় যা অন্য হাজার রাতের তুলনায় উত্তম ।

‘শবে বরাত’ ফার্সি ভাষার দুইটি শব্দ। ফার্সিতে ‘শব’মানে রাত আর ‘বরাত’ মানে মুক্তি। সুতরাং ‘শবে বরাত এর অর্থ হলো মুক্তির রাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘শবে বরাত বলা হয়।

শবে বরাতের আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারাআত’। হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী’ বলা হয়েছে।

হজরত আয়শা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।’
শবেবরাতের ফজিলত নিয়ে কোরআন-হাদিসে যা বলা আছে
শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া

শবে বরাতের রাতে মুসলিমরা ইবাদত করার জন্য বিশেষভাবে উদগ্রিব হন। তবে ইমাম-ওলামারা বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উচিত রাতের বরকতময় সময়ে ইবাদত করার জন্য উদগ্রিব হওয়া। কেননা প্রতিটি রাতেই একটি বিশেষ সময় আছে যখন আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ডেকে ডেকে বলতে থাকেন যে, কার কী দরকার সে যেন তা চায়। আর তা হলো প্রতি রাতের এক-তৃতীয়াংশ এর শেষ অংশে যা ফজর পর্যন্ত চলতে থাকে। এই সময় সৃষ্টিকর্তা বান্দাকে মাফ করে দেওয়ার জন্যই অপেক্ষায় থাকেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions