আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-উ শহর দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। এ ছাড়া তীব্র লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর তিনটি রণতরি ডুবিয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায় থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-উতে অবস্থিত অবশিষ্ট জান্তা ঘাঁটি ৩১তম পুলিশ ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করেছে এএ যোদ্ধারা। ওই ঘাঁটি থেকে প্রায়ই বেসামরিকদের হয়রানি করা হতো এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস করা হতো।
এর আগে এএ যোদ্ধারা ৫৪০তম, ৩৭৭তম ও ৩৭৮তম লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়নকে দখলে নিয়েছে। এখন ৩১তম পুলিশ ব্যাটালিয়ন দখলে নেওয়ার মাধ্যমে গোটা ম্রাউক উ-তে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হলো।
মায়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আরাকানের যোদ্ধারা তিনটি রণতরি ডুবিয়ে দিতে পেরেছে। আরেকটি রণতরি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের এএ যোদ্ধাদের দমাতে জান্তা বাহিনী নিজেদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী ব্যবহার করেছিল। কিন্তু তাদের পরাজিত হতে হয়েছে। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি এএ সদস্যরা জান্তা বাহিনীর হামলার জবাব দেন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত এএ যোদ্ধারা জান্তা বাহিনীর ৭টি রণতরি ধ্বংস করেছেন। এ ছাড়া সাগরে জান্তার তিন রণতরিও কবজায় নিয়েছেন এএ যোদ্ধারা। বিবৃতি থেকে জানা গেছে, অনেক জান্তা সেনাই রণতরি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন এএ যোদ্ধারা।
নারিনজারা নিউজের খবর বলছে, ৮ ফেব্রুয়ারি জান্তার সেনারা জাহাজ থেকে ২৫ বার রামরি শহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। এ ছাড়া থেইন তাওঙ কোনে প্যাগোডার ঘাঁটি থেকেও জান্তা সেনারা রামরিকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছিল। এর আগের রাতে বিমান হামলাও চালানো হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি এএ যোদ্ধারাও রাথেডাউঙ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে আহনগু মাও-মাওঙডাও মহাসড়ক সংলগ্ন কোয়ে টান কাউক সীমান্ত ঘাঁটিতে হামলা চালায়। ওই ঘাঁটিটি দোনে পিকে ও চেইন খার লি সীমান্ত ঘাঁটির কাছে অবস্থিত।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা নাগাদ লায় তাউঙ বোয়ে দ্বীপে হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমান। সেখানে মেশিনগান দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সূত্র: নারিনজারা নিউজ