ডেস্ক রির্পোট:- লোহিত সাগরে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি উত্তেজনায় চরম উদ্বেগ জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির মতে, এই দুই পক্ষে হামলা-পাল্টা হামলায় লোহিত সাগরে সৃষ্ট উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। বাড়িয়ে দিতে পারে ওই অঞ্চলের চলমান সংঘাত।
সিএনএনের এক সাক্ষাৎকারে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এই উদ্বেগের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই খুব উদ্বিগ্ন। আমরা এখন এ অঞ্চলে খুব কঠিন ও বিপজ্জনক সময়ে আছি। সে কারণেই আমরা উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লোহিত সাগর ও আশেপাশের অঞ্চলে জাহাজে ইরান-সমর্থিত হুথি গোষ্ঠীর হামলায় এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্য চলাচলকে মন্থর করে দিয়েছে। এছাড়া গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের অনমনীয় অবস্থান সংকট গভীর করেছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নৌ চলাচলের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে সৌদি আরব এবং এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে চায় তারা।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, অবশ্যই আমরা চলাচলের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। একে রক্ষা করা দরকার। তবে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাও রক্ষা করতে হবে। তাই সংঘাত যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার দিকে মনোযোগ দিয়েছি।
ইয়েমেনের বেশির ভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে হুথিরা। এ গোষ্ঠী বলছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগরে পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
গত সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাণিজ্য পথে হামলা ঠেকানোর পাশাপাশি ইয়েমেনে আক্রমণ করছে। এছাড়া সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে ফের ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় জায়গা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। গত ১৮ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে।
এ সংঘর্ষ হামাস-শাসিত গাজার বাইরেও সংঘর্ষ সম্প্রসারণের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। গত তিন মাসে অবরুদ্ধে এ ছিটমহলে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সূত্র: রয়টার্স