শিরোনাম
আদিবাসী অ-আদিবাসী নিয়ে সুচিন্তিতভাবে শয়তানি করা হচ্ছে : তারেক রহমান মারমা সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধা নিচ্ছে,মারমা ঐক্য পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা কমিটি গঠন রাঙ্গামাটিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত রাঙ্গামাটির দুই মোবাইল দোকান থেকে ৯০টি ফোন চুরি রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি,চন্দ্রঘোনায় ফেরি চলাচল বন্ধ লেবাননে যুদ্ধবিরতি মানছে না ইসরায়েল, নিহত ২৪৫ পার্বত্য অঞ্চল-ভারত-মিয়ানমারের একটি অঞ্চল নিয়ে বৈশ্বিক শক্তির পরিকল্পনা আছে: সালাহউদ্দিন রাঙ্গামাটির কাউখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত ভয়ানক ১৪০৫ অস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে,লুট হওয়া অস্ত্রের ৭৬ শতাংশ উদ্ধার ২৪ ঘণ্টায় চার জেলায় ৫ হত্যাকাণ্ড, ৬ মাসে সারা দেশে ১৯৪১ খুন

আদিবাসী অ-আদিবাসী নিয়ে সুচিন্তিতভাবে শয়তানি করা হচ্ছে : তারেক রহমান

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- বাংলাদেশে কে আদিবাসী, কে অ-আদিবাসী এ নিয়ে সুচিন্তিতভাবে শয়তানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আম জনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদিবাসী, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী প্রসঙ্গ ও জাতীয় নিরাপত্তা ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় তিনি বলেন, তাহলে তো কাগজ কলম নিয়ে বসতে হবে যে, আমরা কারা কারা এক হাজার বছর ধরে আধিভূত, আর কে কে মায়ানমার থেকে আসলাম। কে কে চায়না থেকে আসলাম। যোগ-বিয়োগ করতে হবে না? আমরা সেই যোগ বিয়োগে কেনো যাচ্ছি। আমার স্পষ্ট কথা, এই জাতিগত যে ভাগ বা গোষ্ঠীগত যে ভাগ, এটা সারাদেশেই কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় আছে। আমাদের এখানে হয়ত প্রামাণিক, চৌধুরী হিসেবে বা খান হিসেবে আছে, পাহাড়ে চাকমা, মারমা, শাওতাল এইভাবে আছে। সবাইকে বাংলাদেশি বললে সমস্যা কোথায়?

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদিবাসী, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী প্রসঙ্গ ও জাতীয় নিরাপত্তা ভাবনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট গুণীজনেরা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান পলাশ।

বৈঠকে তারেক রহমান আরো বলেন, আমার বগুড়াতে দুটি ক্যান্টনমেন্ট। একটা জাহাঙ্গীর নগর ক্যান্টনমেন্ট, আরেকটা মাঝিরা ক্যান্টনমেন্ট। আমার জন্য এই ক্যান্টনমেন্ট কোনো সময় অস্বস্তির কারণ হয় না। আমি এই ক্যান্টনমেন্ট দেখলে ভয় পাই না। আমি এই ক্যান্টনমেন্ট দেখলে নিরাপদ মনে করি। আমার প্রশ্ন যারা ক্যান্টনমেন্ট দেখে ভয় পাচ্ছেন, আপনারা কেনো এই ভয়টা পাচ্ছেন, আমরা তো ভয় পাই না। তার মানে আপনি এমন কিছু কার্যক্রম করেন যে কার্যক্রমগুলো ভয় পাওয়ার মতোই আসলে। যে সংগঠনগুলো এই কার্যক্রমগুলো করছে আদিবাসীকেন্দ্রীক সংকট, এই কার্যক্রমগুলো তাদের রুটি-রুজির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো বেঁচে খায়। এটা কাদের কাছে বেচে খায়, ওই চাকমাদের কাছে বেচে খায়, শাঁওতাল, মারমা, ম্রো, তাদের কাছে বেচে খায়। এদের কাজ নাই, এরা চাঁদাবাজি করে, মানুষকে কষ্ট দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমি বলছি,১০টা বা ৫০টা জাতিগোষ্ঠী আলাদা আলাদা জাত, এই জাতিগোষ্ঠীগুলো তাদের নিজ নিজ নামে পরিচিত হতে সমস্যাটা কোথায়? একজন চাকমা- চাকমা হিসেবেই বাঁচবে। চাকমা এদেশের নাগরিক তাতে কোনো সমস্যা আছে আমাদের? কেনো এদের এক জায়গায় করে আদিবাসী বানানো হয়? এটা আমার জিজ্ঞাসা। তারপরে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা আছে। আমরা এটা খুবই সমর্থন করি। এটা খুবই দরকার। আমার জিজ্ঞাসা হলো- পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর যে কোটা ব্যবস্থাপনা এটার মেজরটি শেয়ার কেনো চাকমারা পায়? সবগুলো উপজাতিকে এক জায়গায় করে, সবগুলো নৃগোষ্ঠীকে এক জায়গায় করে যে কোটা দিয়ে দেওয়া হলো। দেশের প্রেক্ষাপটে বড় গোষ্ঠীর সাথে আপনারা ছোট গোষ্ঠীগুলো পারছেন না। সে কারণে কোটা নিচ্ছেন। খুব ভালো কথা। সেইটা শাক জাতি পায় না কেনো, মারমা পায় না কেনো? ম্রোরা পায় না কেনো? গাঢ়রা পায় না কেনো, শাঁওতালরা পায় না কেনো? এই সুবিধাটা তারা পাচ্ছে না। পাচ্ছে না কেনো? আমরা সঠিক ভাবে এই সমস্যাগুলো নিরূপণ করি না।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের স্পষ্ট কথা। আমাদের এই সরকারের আগে বিগত যে সরকারগুলো ছিলো, সেই সরকারের কোনো সরকার, উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, আদিবাসী, বিতর্ক করার কোনো সাহস বা হিম্মত কখনো করেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার এসে এই বিষয়গুলো নাড়া দিচ্ছে। আমি বলি, এই এনজিওভিত্তিক চক্রান্ত যদি বন্ধ না করেন, এই ভূঁতটাকে আমরা উল্টায়ে দিব একেবারে। কোথায় কোন ভূঁতের কয় হাত, কয় পা, এগুলো আমরা খুঁজে বের করব। ভারতে যে এনজিওগুলো এনজিওর কাজ করে একই সাথে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের কাজ করে। ভারত খুব সুনির্দিষ্টভাবে আইডেনটিফাই করেছে, যে তারা জাতিগত এই ভাগটা ঘটাচ্ছে। আমাদের এখানোও দেখেন, ধর্মীয় আগ্রাসন হচ্ছে। কোনো মুসলিম সম্প্রদায়, কোনো আদিবাসীর উপরে ধর্মভিত্তিক আগ্রাসন চালায় নি। এই যে ময়মনসিংহে আমাদের যে জাতিগোষ্ঠীগুলো আছে, তাদের ওপর কোনো আগ্রাসন চালানো হয় নি। অথচ তাদের অনেককে খ্রিস্টান বানানো হয়েছে। তাদের ওপর ধর্মীয় আগ্রাসন চালানো হয়েছে। যদি পুরনো শিকড়ের কথা বলা হয়, তাহলে একজন ম্রো, একজন মারমা, একজন শাক তার জাতির ধর্মকে ধর্মান্তরিত করার জন্য কেনো এখানে অর্থায়ন করা হচ্ছে। তারা যে যে ধর্মে আছে, যে যে পরিচয়ে আছে, সেটিতে থাকুক।

তিনি বলেন, এখানে অনেক গুণীজন আছেন। এখানে বসা যেনো শেষ না হয়। এখান থেকে শুরু হোক। নিয়মিত আলোচনা হোক। আমরা পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীদের বলি যে, আমরা বাংলাদেশি হিসেবে বেশ ভালো বোধ করি। আপনাদেরকেও বাংলাদেশি হিসেবে ভালো বোধ করতে হবে। আমরা সবাই একসাথে থাকতে চাই। একই অধিকার নিয়ে থাকতে চাই একভাবে। আপনাদের পাহাড়ে অনেক সমস্যা আছে। ইলেকট্রিসিটি, মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যাসহ অনেক সমস্যা আছে। আমরা সমতলের মানুষেরা পাহাড়ের সমস্যা অনুধাবন করতে পারব না। ওই খানে একটা বই পড়তে বসলে ওই বইয়ের ওপরে টুপ করে ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। এটা আমরা জানি। ওখানে লেখাপড়া করতে অনেক কষ্ট। ওখানে কেয়ারিং প্রয়োজন। সেই কেয়ারিংটা রাষ্ট্রকে করতে হবে। কিন্তু জাতিগত বিভেদের মধ্য দিয়ে কেয়ারিংয়ের প্রয়োজন নেই। ইচ্ছা করলেই সেই কেয়ারিংটা করা যায়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions