ডেস্ক রির্পোট:- ‘খালেদা-তারেকের ১১৭ মামলা’ শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে খবর প্রকাশের পর গত ১১ দিনে মাত্র ৪৪টি মামলা বাতিল ও খারিজ হয়েছে। এখনো বাকি ৭৩ মামলা। এসব বানোয়াট ও মিথ্যা-গায়েবি মামলাগুলো খড়্গ হয়ে ঝুলছে বিএনপির দুই শীর্ষনেতার মাথার ওপর। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছর আর তার আগের ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিন সরকারের দুই বছরে এ ১১৭টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে গত ১১ দিনে মাত্র ৪৪টি মামলা বাতিল ও খারিজ করা হয়। এর আগে ২০ অক্টোবর শুরু করে গতকাল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আদালত কর্তৃক প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় এসব মামলা খারিজ ও বাতিল হয়। ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘খালেদা-তারেকের ১১৭ মামলা’ প্রধান শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সেদিনই এ মামলা খারিজ ও বাতিলের প্রক্রিয়াটি শুরু করেন আদালত। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আইনজীবীসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, মামলাগুলো প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় ও সিআরপিসি সাংবিধানিক আলোকে নিষ্পত্তি করা হবে। ইতোমধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ২৩ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২১টি মামলা খারিজ ও বাতিল করা হয়েছে। আদালত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসারে মামলাগুলো বাতিল ও খারিজ করেন। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে কোনো আইনি শাসন ছিল না বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈিিতক প্রতিহিংসাবশত এসব মিথ্যা, গায়েবি ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়। যেসব মামলার কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। সরকারের নির্বাহীদের সরাসরি হস্তক্ষেপে এসব মামলা দায়ের করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে মাত্র একটি (রাষ্ট্রদ্রোহ) মামলা বাতিল আর বাকি ১৮টি মামলা খারিজ করা হয়েছে। যেগুলোর বেশির ভাগই ছিল মানহানির মামলা। কায়সার কামাল আরও বলেন, যেসব মামলার আইনি কোনো অ্যাভিডেন্স নেই, সেগুলো বাতিল বলে অভিহিত করছেন আদালত। অন্যদিকে যেসব মামলা দায়েরের পর থেকে দীর্ঘ বছর ধরে সাক্ষী/বাদী কারও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না, তারা আদালতে আসেন না এবং মামলার কার্যকারিতা হারিয়েছে সেগুলো খারিজ করা হচ্ছে।