শিরোনাম
বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হাসনাত আব্দুল্লাহকে আহ্বায়ক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি যে পর্যবেক্ষণে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় বিচারপতি সিনহাকে ‘কোনো একজন ব্যক্তি দ্বারা কোনো একটি দেশ বা জাতি তৈরি হয়নি’ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আলটিমেটাম পদ ছাড়তে রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিলেন আন্দোলনকারীরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান এখন লন্ডনে, আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান শাহবাগে না, সভা-সমাবেশ করতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বান্দরবানে ভিক্টরী টাইগার্সের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন পাহাড়ে ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছেন না প্রান্তিক চাষীরা, কমেছে মিষ্টি কুমড়ার ফলন রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান

বেসামাল বাজারে নাভিশ্বাস

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৩ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- রাজধানীর বনশ্রীতে গতকাল মঙ্গলবার একটি ভ্যান থেকে সবজি কিনছিলেন গৃহিণী আয়েশা আহমেদ। বরবটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন ও পটোল—এ চার সবজির প্রতি পদই ২৫০ গ্রাম কেনেন তিনি। এই গৃহিণী বলেন, ‘বাজারে ১২০ টাকার নিচে সবজি নাই। দাম বাড়তি, তাই কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিলাম। আগে এক কেজির নিচে সবজি কিনতাম না। এখন ২৫০ গ্রাম দিয়েই চালিয়ে নেব।’

বাজারে সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে বাধ্য হয়ে ভোগ কমিয়ে দিতে হচ্ছে ভোক্তাদের। ফলে আয়েশা আহমেদের মতো অনেকেই এখন এক কেজির জায়গায় আধা কেজি বা আরও কম সবজি কিনছেন। এতে বাজারে বিক্রিও কমতে শুরু করেছে।

গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজার সবজির মার্কেটে গোল বেগুনের দাম জিজ্ঞেস করছিলেন আইয়ূব হোসেন নামের এক ব্যক্তি। দোকানি রিপন মিয়া প্রতি কেজি গোল বেগুনের দাম হাঁকান ১৮০ টাকা। তখন আইয়ূব হোসেন আক্ষেপের সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘দুই গজ দূরে এসেই দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ল।’ দাম শুনে বেগুন না কিনে চলে গেলেন তিনি।

রাজধানীসহ সারা দেশে সবজির বাজারে রীতিমতো ‘আগুন’ লেগেছে; দামের আগুন। দাম শুনেই হাত গুটিয়ে নিচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। শুধু সবজি নয়, চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দামও বাড়তি। বাজারভেদে রয়েছে দামের বিস্তর ব্যবধান।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজির পাইকারি দোকান ঘুরে পেঁপে ছাড়া সব সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে হাঁকতে দেখা গেছে আড়তদারদের।

সেই সবজি কারওয়ান বাজারের বাইরে এসে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা বনশ্রী-রামপুরা এলাকায় ৪৮০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে যে ঢ্যাঁড়স ৮০-৯০ টাকা কেজি, সেটি পাড়া-মহল্লার দোকানে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

একইভাবে ১৬০-১৮০ টাকার গোল বেগুন ২০০-২২০ টাকা, ১১০-১২০ টাকার লম্বা বেগুন ১৩০-১৪০ টাকা, ৮০ টাকার করলা ১২০ টাকা, ৮০ টাকার ঝিঙে-ধুন্দল ১২০ টাকা, ৯০ টাকার বরবটি ১৪০ টাকা এবং ৬০ টাকার শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাজারে কচু, লতি ও পেঁপের মৌসুম চলে। এই তিন সবজির সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য সবজির মৌসুম এখন নয়। এ কারণে দাম বাড়তি হতে পারে। তবে ১৫ নভেম্বরের পর বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, যেসব জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে, সেখানে সবজির আবাদ বেশি হয় না। যেসব জেলায় সবজির আবাদ বেশি হয়, সেখানে বন্যা বা অতিবৃষ্টি কোনোটিই হয়নি। ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারকে কঠোর হস্তে তা দমন করতে হবে।

গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মতবিনিমিয় সভায় যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সিন্ডিকেট করছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হবে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে যেসব ব্যবসায়ী বসেছিলেন, তাঁরা এখনো রয়েছেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একজন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হলে সেই জায়গায় অন্যজন রিপ্লেস হচ্ছে। গোড়াটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করতে হবে।’আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions