রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২০টি স্পটে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড়ধসে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পরবর্তীতে সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল সচল করে। তবে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের একাধিক স্থানে পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আন্তঃজেলা যান চলাচল। জেলার কাউখালী উপজেলার ইছামতি খাল ও কাউখালী খালে পানি বেড়ে ডুবে গেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ২০টি ঘর। এছাড়া অবনতি হয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি। বাঘাইছড়িতে অন্তত ৩০টি গ্রামে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, জেলায় ২০টি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। সকালে ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড়ধসে সাময়িক সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সড়ক বিভাগের কর্মচারীরা সড়ক থেকে মাটি অপসারণ করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে।
এদিকে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বেড়াতে আসা আড়াই শ’ পর্যটক বৃহস্পতিবারও সাজেক ত্যাগ করতে পারেনি। কাচালং নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি-সাজেকের একাধিক স্থানে সড়ক ডুবে যাওয়ায় পর্যটকরা বুধবার থেকে আটকা পড়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আপাতত সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকদের বিকল্প উপায়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবারও তাদের সাজেকে অবস্থান করতে হচ্ছে। উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হলেও রাতের বৃষ্টিতে আরো কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এই পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বাঘাইছড়িতে বন্যার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রায় দুই হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি সদরে পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে আছে ১৩৬৬ মানুষ। প্রাণহানি এড়াতে ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।পাহাড়২৪