ডেস্ক রির্পোট:- বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা একত্রিতভাবে মিছিল বের করলে তা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে দিয়ে বের হওয়ার সময়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে। একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেডও মারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দৌড়ে গলিতে চলে যায়। সেখান থেকে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রায় ২০ মিনিট এ রকম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি চলতে থাকে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত সড়কে প্রচুর ইটপাকেট পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি ছিল পূর্বঘোষিত। কিন্তু পুলিশ ১২টা থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে পাহারা বসায়। সারিবদ্ধভাবে পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকেন। মুসল্লি নয় কিংবা তরুণ বয়সী কাউকে সন্দেহ হলে মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। অনেককে প্রবেশ করতেও দেওয়া হয়নি বলে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা জোহরের নামাজের আজানের পর মসজিদে প্রবেশ করেন। নামাজ শেষে মূল মসজিদের বারান্দায় গায়েবানা জানাজা হয়। কোটা আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত ৭ শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় এই জানাজার কর্মসূচি দেয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে মসজিদসহ সারা দেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর নেতাকর্মীদের নিয়ে মসজিদ থেকে বের হন। এ সময়ে পুলিশ উত্তর গেট পুরোটা খুলে না দিলে মুসল্লিরা পুরো গেইট খুলে স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে সামনে এগুতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।