রাঙ্গামাটি:- পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটি শহরাঞ্চলে এক দশকে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। দেশে সার্বিকভাবে শহরাঞ্চলে জনসংখ্যার হার ৩১ শতাংশ হলেও রাঙ্গামাটিতে সেটি ৪৭ শতাংশ হয়েছে। চলতি বছরের জুনে জেলাভিত্তিক জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছরের জুনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।
পাশাপাশি ১১ বছরে রাঙ্গামাটিতে জনসংখ্যা বেড়েছে ৫১ হাজার। ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যানুযায়ী, জেলায় জনসংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭৯ জন। ২০২২ সালের জনশুমারি তথ্যে জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৬ জনে। সে হিসাবে বিগত ১১ বছরে রাঙ্গামাটিতে জনসংখ্যা বেড়েছে ৫১ হাজার ৬০৭ জন। ২০১১ সালে পল্লী বা গ্রাম এলাকায় জনসংখ্যার হার ছিল ৭৩ দশমিক ২২ শতাংশ আর শহরাঞ্চলে ছিল ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২২ সালে জেলায় গ্রামাঞ্চলে ৫২ দশমিক ৪৪ শতাংশ আর শহরাঞ্চলের হার ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০৪ ও নারীর সংখ্যা ৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ জন। আর জেলায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছে ২৬ জন। মোট জনসংখ্যার ৫১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পুরুষ ও ৪৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ নারী। যদিও শহরাঞ্চলে নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
জরিপের তথ্যে উল্লেখ রয়েছে, বৈবাহিক অবস্থার ক্ষেত্রে জেলায় ১০ বছরের চেয়ে বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে ৬৩ শতাংশ বিবাহিত ও প্রায় ৩১ শতাংশ অবিবাহিত; বাকিরা বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে বিবাহিত পুরুষের হার ৬১ শতাংশ ও নারীর হার ৬৫ শতাংশ। মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিবাহিতের হার জুরাছড়িতে এবং সবচেয়ে কম রাঙ্গামাটি সদরে। জুরাছড়িতে বিবাহিতের হার ৬৭ এবং রাঙ্গামাটি সদরে ৬০ শতাংশ। তবে পুরো জেলায় অবিবাহিতদের মধ্যে নারীর চেয়ে পুরুষের হার বেশি। শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিকের ওপরে হলেও রাঙ্গামাটিতে সাক্ষরতার হার ৭১ দশমিক ৪১ শতাংশ। জেলায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৭ ও নারীর সাক্ষরতার হার ৬৪ শতাংশ। তবে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরে মোট জনসংখ্যার সাক্ষরতার হার বেশি। গ্রামে ৬৮ শতাংশ হলেও শহরে সাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশের ওপরে।বনিক বার্তা