দুদকের ‘গর্জনে’ আতঙ্কে দুর্নীতিবাজরা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ৬৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- পর পর বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমে তাঁদের বিপুল সম্পদ জব্দ এবং বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির অনুসন্ধান পর্যায়েই তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের অনুমতিক্রমে এসব সম্পদ জব্দ এবং অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কমিশনের এমন তোড়জোড় আগে কখনো লক্ষ করা যায়নি। এতে একদিকে যেমন দুর্নীতিবাজদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে দুদকের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরো বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একসময়ের নখ-দন্তহীন বাঘ এখন গর্জন করছে। দুদক শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘব বোয়ালদেরও ধরতে শুরু করেছে। দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করে দুদকে নজির সৃষ্টির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সদস্য মতিউর রহমান, প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাইসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু, সম্পদ জব্দ ও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দুদক ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে।

জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, ‘কমিশন তার নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। কোনো প্রভাবশালীকে টার্গেট করে কোনো কিছু করা হচ্ছে না।
দুদক আইনের দ্বারা সৃষ্ট সংস্থা। আইন ও বিধি অনুসারেই সংস্থার সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘চুনোপুঁটি বা রাঘব বোয়াল বলে কিছু নেই। অভিযুক্ত ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক, আইনের চোখে সবাই সমান। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেশ কিছু প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তার ভিত্তিতেই দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। গণমাধ্যম আরো তথ্য প্রকাশ করলে সেসব অভিযোগের বিষয়েও অনুসন্ধান করা হবে।’

জানতে চাইলে দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘দুদক কখনোই চুনোপুঁটি ধরা নিয়ে ব্যস্ত থাকে না। দুদকের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধান বিচারপতির সাজা হয়েছে। তাঁরা কি চুনোপুঁটি?’

তিনি আরো বলেন, ‘আসলে চুনোপুঁটি বা রাঘব বোয়াল বলে কিছু নয়, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, দুদক তাকে ছাড় দেবে না। দুদক কারো পরিচয় দেখে না। দুদক আইন ও বিধি অনুসারে কাজ করে।’

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদক রাঘব বোয়াল ধরছে এমন উপসংহারে এখনই আসা যাবে না। তবে সম্প্রতি যৌক্তিক কিছু কার্যক্রমে দুদকের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও আস্থা বেড়েছে। দুদকের এমন কার্যক্রম ইতিবাচক। এ ধারা অব্যাহত থাকবে, এমনটাই সবার আশা। প্রভাবশালীরা যেন পার না পান, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আগে ও পরে অনেক অভিযুক্ত দেশত্যাগ করেছেন। দুদকের সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন কি না—এমন প্রশ্নও উঠেছে। আমরা চাই, দুদকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ যেন সত্য না হয়।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বিদেশ থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে দুদক চাইলে মামলা করতে পারবে। একইভাবে মামলার আসামিকে দুদক চাইলে বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আনারও উদ্যোগ নিতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে অন্যান্য দপ্তর ও সংস্থার সাহায্য প্রয়োজন হবে। জনগণের আগ্রহ এবং সংসদে এ নিয়ে আলোচনার পর দুদকের বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ করা গেছে। এই ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো যেন ব্যর্থ না হয়, সে জন্য অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করে দুদককে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’

সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ জব্দ

অনুসন্ধান পর্যায়েই আদালতে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফায় পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। সর্বশেষ তৃতীয় দফায় গত ১২ জুন বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা আরো আটটি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর (৬০.৫ কাঠা) ২৭ কাঠা জমি জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশও দিয়েছেন আদালত। দ্বিতীয় দফায় গত ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে থাকা মাদারীপুরে ২৭৬ বিঘা জমি এবং বেনজীর পরিবারের নামে থাকা গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। একই দিন বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও তিনটি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। সাভারের কিছু জমিও রয়েছে একই আদেশের আওতায়। আর প্রথম দফায় গত ২৪ মে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক স্বজনের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি ক্রোক বা জব্দের আদেশ দেন। একই দিন বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে থাকা ২৩টি ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট), চারটি ক্রেডিট কার্ড ও ছয়টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন। গত ১৮ এপ্রিল বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।

অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুলের সম্পদ জব্দের প্রস্তুতি

ঢাকার সিটি এসবিতে (নগর স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। চলতি বছরের শুরুর দিকে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়। এরপর অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়। এরই মধ্যে দুদকের অনুসন্ধান টিম রফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনদের নামে করা সম্পদ জব্দের অনুমতি চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছে। গত ২ জুন অনুসন্ধান টিম সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন দাখিল করে। যা বর্তমানে কমিশনের পর্যালোচনাধীন। কমিশন অনুমতি দিলেই অনুসন্ধান টিম রফিকুল ইসলামের সম্পদ জব্দে আদালতে যাবে।

রফিকুল ইসলামের যেসব সম্পদ জব্দের অনুমতি চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো গোপালগঞ্জ সদরে রফিকুল ইসলামের নিজ নামে থাকা ৪৯ শতাংশ জমি, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ১০ শতাংশ জমি, নিকুঞ্জে পাঁচ কাঠার প্লট, গোপালগঞ্জ সদরে আরো ৬৭ শতাংশ জমি, ফার্মগেটে চারতলা ভবন, শ্বশুরের নামে রাজধানীর নাখালপাড়ায় পাঁচতলা ও ছয়তলা দুটি ভবন, ভাইদের নামে প্রায় ১০ একর জমি, গোপালগঞ্জের কানাডা সুপারমার্কেট, রফিকুল ইসলামের ভাই আমিনুলের কাকরাইলের ফ্ল্যাট, আরেক ভাই দিদারুলের নামে মোহাম্মদপুরের ফ্ল্যাট, ভাতিজি উর্মির নামে ধানমণ্ডির ফ্ল্যাট, রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত দলিল লেখক উজ্জল মামুন চৌধুরীর নামে কয়েক একর জমি, ভাতিজির স্বামীর নামে একটি বাড়ি, রফিকুলের স্ত্রীর নামে একটি জাহাজ, রফিকুলের শ্বশুরের নামে তিনটি জাহাজ এবং আরেক ভাই মনিরুলের ব্যবহৃত জিপ গাড়ি।

এনবিআর সদস্য মতিউরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআরের সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সদস্য মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফায় অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অনুসন্ধান শুরুর পর নথিপত্র পর্যালোচনা করে দুদক গত ২৪ জুন আদালতে মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। এদিকে মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ জব্দের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশনের অনুসন্ধান টিম। গত ৪ জুন কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। মতিউর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে অবাধে দুর্নীতি করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এনবিআরের প্রথম সচিব ফয়সালের সম্পদ জব্দ

এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রমাণ পাওয়ায় গত ২৭ জুন ফয়সাল ও তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাব ও ১৫টি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আর ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ ক্রোক (অ্যাটাচমেন্ট) করা হয়েছে। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার দুটি সঞ্চয়পত্র, তাঁর স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে চারটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা, আফতাব আলীর নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, কাজী খালিদ হাসানের নামে একটি সঞ্চয়পত্রে ৩০ লাখ টাকা, খন্দকার হাফিজুর রহমানের নামে দুটি সঞ্চয়পত্রে ৪০ লাখ টাকা, আহম্মেদ আলীর নামে তিনটি সঞ্চয়পত্রে ৫০ লাখ টাকা ও মাহমুদা হাসানের একটি সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে। এ ছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে আফসানা জেসমিনের নামে ১০ কাঠা জমি, ২০০ বর্গমিটারের প্লট, আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে ভাটারা, খিলগাঁও ও রূপগঞ্জে থাকা স্থাবর সম্পদ, আহমেদ আলীর নামে থাকা ফ্ল্যাট ও কার পার্কিংয়ের ৩২২৮ বর্গফুট স্থাবর সম্পদ ও মমতাজ বেগমের নামে থাকা ১০ কাঠা জমি জব্দ করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগের অনুসন্ধান করছে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ ও উপসহকারী পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট।

সাবেক জেনারেল আজিজের দুই ভাইয়ের পাসপোর্টের অনুসন্ধান

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। গত ৬ জুন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় দুদক থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৯ মে আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় প্রকাশ পাওয়া দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।কালের কণ্ঠ

রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুছা মাতব্বরের সম্পদের বিবরণ চায় দুদক
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. মুছা মাতব্বরকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে দুদকে হাজির হয়ে নিজেরসহ স্ত্রী ও পরিবারের নামে অর্জিত সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সোমবার এক নোটিসে তার সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার কথা বলা হয় বলে বুধবার জানিয়েছেন দুদক রাঙ্গামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহিদ কালাম।

নোটিসে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (১) উপধারা অনুযায়ী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে মো. মুছা মাতব্বরকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

মো. জাহিদ কালাম বলেন, “মুছা মাতব্বরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দুদক আইনে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দুদকের কাছে তার নিজের, স্ত্রীর ও পরিবারের নামে অর্জিত সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”

এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি এ আওয়ামী লীগ নেতাকে।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মুছা মাতব্বর টানা দুই দফায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদেও টানা দুই দফায় সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions