ডেস্ক রির্পোট:- বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়া ফুয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মো. শামসুল ইসলামের আদালতে মামলা করেন তিনি।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের জন্য হাজারীবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এর আগে এই ছাত্রলীগ নেতার কাছে বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতি চাওয়ায় একই সংগঠনের ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক নেত্রী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি এ ঘটনায় বিচার চেয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।
তবে ছাত্রলীগের এই নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অ্যাপের সাহায্যে তাকে ফাঁসানো হতে পারে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তরুণীর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি জিডি করেছিলেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে ওই ছাত্রলীগ নেত্রী বলেছিলেন, ‘তার (শাহাদাতের) সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে ২০১৬ সালে কক্সবাজারে। আমরা দীর্ঘদিন ঢাকায় একই বাসায় ছিলাম। এখন শাহাদাত এসব অস্বীকার করছেন।’
বিয়ের কাবিননামার বিষয়ে জানতে চাইলে তরুণী বলেন, ‘কাবিননামা আমার কাছে নেই। শাহাদাত আটকে রেখেছেন। যে কাজি বিয়ে পড়িয়েছেন তাকেও চিনি না। যারা সাক্ষী ছিলেন তাদেরও চিনি না। শাহাদাত এখন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমি সামাজিক মর্যাদা (বিয়ের স্বীকৃতি) চাই।’
নিজের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হাসান শাহাদাত বলেছিলেন, ‘তার (তরুণী) সঙ্গে পরিচয় ছিল। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখা হয়েছে। এখন অন্য কারও প্ররোচণায় তিনি আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চাইছেন। মান-সম্মানের ভয়ে তাকে বলেছি কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে হলেও আমাকে যেন আর বিরক্ত না করেন। তিনি চাইছেন তার নামে যেন ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেই। এত টাকা আমি কোথায় পাবো!’
‘তাকে (তরুণী) বিয়ে করার প্রশ্নই আসে না’ জানিয়ে ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, ‘সব মিথ্য বলছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি তিনি বিয়ের কোনো ডকুমেন্টস দেখাতে পারবেন না। উল্টো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমার সম্মান নষ্ট করছেন। আমি তার নামে মানহানির মামলা করবো।’